আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন সম্পত্তি সংক্রান্ত একটি মামলার তদন্তে সাফল্য পেল কর্নাটকের লোকায়ুক্ত। ১০ জন সরকারি আধিকারিকের মোট ৫৫টি ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৩৫ কোটি ৩১ লক্ষ টাকার সম্পত্তি। লোকায়ুক্তের তরফে জানানো হয়েছে, তারা ২২ কোটি ৩১ লক্ষ টাকার স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে কৃষিজমি, বাড়়ি। তা ছাড়াও নগদ ৭৮ লক্ষ টাকা, প্রায় ৬ কোটি টাকার গয়না, ৩ কোটি মূল্যের গাড়ি এবং ব্যাঙ্কে থাকা স্থায়ী আমানত বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা।
কর্নাটকের হাভেরি জেলার নগরোন্নয়ন শাখার এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শেখর সান্নাপ্পা কাট্টিমানির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই সূত্রেই তদন্তে নামে কর্নাটকের লোকায়ুক্ত। শেখরের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্পর্ক থাকা ছ’টি ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে ৫ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। তার মধ্যে গয়না, জমি, গাড়িও রয়েছে। ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছিল লোকায়ুক্তের জেলা দফতরগুলিতে। শেখরের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত আর এক সরকারি আধিকারিক পুট্টাস্বামী সি-র বিভিন্ন ঠিকানা থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৪ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকার সম্পত্তি। মোট ১০ জন সরকারি আধিকারিকের সম্পর্কিত ৫৫টি ঠিকানায় হানা দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা।
কর্নাটকের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে, তার তদন্ত করে থাকে লোকায়ুক্ত। ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থার ক্ষমতা মাঝে কিছু দিনের জন্য খর্ব করা হয়েছিল। ২০১৬ সালে এই সংস্থার কাছ থেকে তদন্তভার কেড়ে নিয়ে কর্নাটক পুলিশের দুর্নীতিদমন শাখা (এসিবি)-র হাতে তুলে দেও়য়া হয়েছিল। ২০২২ সালে কর্নাটক হাই কোর্ট এসিবি-র ক্ষমতা কেড়ে চালু মামলাগুলি ফের লোকায়ুক্তের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।