Advertisement
E-Paper

টাকা চাইলে মেয়েদের গায়ে হাত দেওয়া হত, ইটভাটায় বন্দি ৩৭জন শ্রমিককে উদ্ধার পুলিশের

শ্রমিকদেরই একজন যোগাযোগ করেন পুলিশের সঙ্গে। পুলিশকে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁদের উত্তরপ্রদেশ থেকে জোর খাটিয়ে আনা হয়েছিল বিহারে। তার পর থেকেই তাঁরা ইটভাটায় বন্দি। সময়ে খাবার এমনকি পানীয় জলও পেতেন না। শিশুরা অসুস্থ হলে দেওয়া হয় না ওষুধটুকুও।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২২ ১৭:৫৩
এক শ্রমিকের অভিযোগের ভিত্তিতেই, পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে নিতেশ্বরকে।

এক শ্রমিকের অভিযোগের ভিত্তিতেই, পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে নিতেশ্বরকে। প্রতীকী ছবি।

ইট ভাটায় বন্দি করে শ্রমিকদের উপর চালানো হত অমানবিক অত্যাচার। খাবার, পানীয় জল তো পাওয়া যেতই না। উল্টে প্রাপ্য টাকা চাইলেই পরিবারের লোককে নিয়ে চলত টানাটানি। শিশুদের মারধর করা হত। মহিলাদের উপর করা হত নির্যাতন। বিহারের মোতিহারির এই ঘটনায় আক্রান্ত ৩৭ জন বাঁধা শ্রমিককে সম্প্রতি উদ্ধার করল পুলিশ। এঁদের মধ্যে ১৩ জন মহিলা ১২ জন পুরুষ এবং ১২টি শিশু রয়েছে।

মোতিহারির পুলিশ সুপার কুমার আশিস জানিয়েছেন, এই শ্রমিকদেরই একজন কোনও মতে যোগাযোগ করেন তাঁর সঙ্গে। তাঁর থেকেই ইটভাটার বাকি শ্রমিকদের অত্যাচারের বিষয়ে জানতে পারেন তিনি। পুলিশকে ওই শ্রমিক জানিয়েছিলেন, তাঁদের উত্তরপ্রদেশের আমরোহা, মুরাদাবাদ এবং সম্ভল জেলা থেকে জোর খাটিয়ে আনা হয়েছিল। তার পর থেকেই তাঁরা ইটভাটায় বন্দি। সময়ে খাবার এমনকি পানীয় জলও পান না তাঁরা। শিশুরা অসুস্থ হলে দেওয়া হয় না ওষুধটুকুও।

এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘ওই শ্রমিক আমাকে বলেছিলেন, ‘‘আমরা রাত দিন খাটি। তার পরও আমাদের না খাইয়ে রেখে দেওয়া হয়। খাটুনির টাকা চাইলে, দেওয়া তো হয়ই না। উল্টে টাকা চাইলেই পরিবারের সদস্যদের উপর চড়াও হয় ওরা। মহিলাদের যথেচ্ছ মারধর করে এবং অশ্লীল ভাবে গায়ে হাত দেওয়াও হয়। আর এই সবই হয় ইটভাটার মালিক নিতেশ্বর মিশ্রের আশকারায়।’’

ওই শ্রমিকের অভিযোগের ভিত্তিতেই, পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে নিতেশ্বরকে। তাকে মঙ্গলবার শ্রম দফতর সমন পাঠিয়েছে। জেরার পর এফআইআরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন কুমার। অন্য দিকে, ইট ভাটায় বন্দি ৩৭ জনকে উদ্ধার করে তাদের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। তাদের পারিশ্রমিকের ৩৮ হাজার টাকাও দেওয়া হয়েছে তাঁদের।

torture brick kiln Labour
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy