Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
Rape

তেলঙ্গানার পর মধ্যপ্রদেশ, চার বছরের শিশুকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন

বেশ কয়েক ঘণ্টা খোঁজার পর রেলস্টেশনের কাছেই একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে প্লাস্টিকে মোড়া অবস্থায় শিশুটির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
ইনদওর শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৭:২১
Share: Save:

তেলঙ্গানায় তরুণী চিকিত্সককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যখন গোটা দেশ উত্তাল, ঠিক সেই সময়েই আরও একটি ধর্ষণের ঘটনা সামনে এল। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের মহুতে।

ইনদওরের খুব কাছেই ক্যান্টনমেন্ট শহর মহু। সেখানে একটি সেতুর নীচে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল চার বছরের এক শিশুকন্যা। সেখান থেকেই তাকে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তার পর তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।

পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটির বাবা-মা মহু রেলস্টেশনে শ্রমিকের কাজ করেন। এ দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মেয়েকে পাশে না দেখতে পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তাঁরা। আশপাশে কোথাও তার হদিশ না পেয়ে পুলিশের তাঁরা দ্বারস্থ হন। শিশুটির খোঁজে এলাকায় তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালায় পুলিশ। বেশ কয়েক ঘণ্টা খোঁজার পর রেলস্টেশনের কাছেই একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে প্লাস্টিকে মোড়া অবস্থায় শিশুটির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, শিশুটির শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যৌনাঙ্গে আঁচড়ের দাগ মিলেছে।

আরও পড়ুন: পিটিয়ে মারা উচিত, তেলঙ্গানা নিয়ে আইন হাতে তোলার সওয়াল জয়া বচ্চনের

আরও পড়ুন: চিৎকার বন্ধ করতে তরুণীর মুখে ঢালা হয়েছিল মদ! তেলঙ্গানায় ধর্ষণকাণ্ডে বিস্ফোরক তথ্য

মহু থানার ইনচার্জ অভয় বর্মা বলেন, “শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলেই সন্দেহ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে এলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি না।” এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে স্থানীয় বেশ কয়েক জন শ্রমিককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

গত ২৮ নভেম্বর তেলঙ্গানার শামশাবাদে একটি কালভার্টের নীচ থেকে তরুণী চিকিত্সকের আধপোড়া দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে শামশাবাদের টোলপ্লাজা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে চার ট্রাক কর্মী। তার পর পেট্রোল ঢেলে দেহ পুড়িয়ে দেয়। তেলঙ্গানার এই ঘটনায় দেশ জুড়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। সোমবার এই ঘটনায় উত্তাল হয়েছে সংসদও। দোষীদের ‘জনসমক্ষে পিটিয়ে মারা’ উচিত বলেও মন্তব্য করেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চন। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন, “ধর্ষণ আইন আরও কঠোর করতে আলোচনার জন্য প্রস্তুত সরকার। আরও কঠোর আইনের জন্য যদি সহমত হয়, সরকার সেটা প্রণয়ন ও প্রয়োগ করতেও প্রস্তুত।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE