করিমগঞ্জে পুরসভা দখলের পথে অনেকটা এগিয়ে গেল বিজেপি। কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন করিমগঞ্জ পুরসভার ৫ কংগ্রেস সদস্য। আজ তাঁরা নিজেদের ইস্তফাপত্র জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। দলত্যাগী পুরসদস্যরা হলেন— যিশুকৃষ্ণ রায়, ঋষিশ্রী ধর, চন্দনা দাস, সুরজিৎ পোদ্দার, মল্লিকা দাস। দলের ওই পুরসদস্যদের দলত্যাগের জেরে পুরসভায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে কংগ্রেস। করিমগঞ্জ পুরসভায় মোট আসন ২৭। তার মধ্যে ১৭ জন ছিলেন কংগ্রেসে। বিজেপির সদস্যসংখ্যা ছিল ১০ জন। এ দিন পাঁচ পুরসদস্য কংগ্রেস ত্যাগ করায় করিমগঞ্জ পুরসভায় দলগত অবস্থান হয়েছে— কংগ্রেস ১২, বিজেপি ১৫।
করিমগঞ্জ পুরসভায় নেতৃত্ব নিয়ে কয়েক দিন ধরেই সংঘাত চলছিল। কংগ্রেস পুরসদস্যদের একাংশ পুরপ্রধান শিখা সূত্রধরকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন। কংগ্রেস পুরসদস্যদের কয়েক জন উপ-পুরপ্রধান পার্থসারথি দাসকে সরানোরও দাবি তোলেন। উত্তর করিমগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ এ নিয়ে দু’পক্ষের ক্ষোভ মেটানোর চেষ্টা করেছিলেন। দফায় দফায় তিনি সকলের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন।
এ দিন কংগ্রেসের ওই ৫ পুরসদস্য নিজেদের ইস্তফাপত্র দলীয় কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেন। করিমগঞ্জ জেলা কংগ্রেসের অধ্যক্ষ ফয়াজ আহমেদ চৌধুরী সেগুলি গ্রহণ করেন। খবর পেয়েই জরুরি বৈঠকে বসেন উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক। পরে করিমগঞ্জের আবর্ত ভবনে কমলাক্ষবাবু জানান, দলত্যাগের সিদ্ধান্ত পুরোপুরি ব্যক্তিগত বিষয়। তবে তিনি ওই কংগ্রেস সদস্যদের ‘স্বার্থপর’ বলে চিহ্নিত করেন। বিধায়ক বলেন, ‘‘কংগ্রেস প্রয়োজনে পুরসভায় বিরোধী আসনে বসবে।’’
অন্য দিকে করিমগঞ্জের পুরপ্রধান শিখা সূত্রধর জানান, ৫ জন কংগ্রেস পুরসদস্যের দলত্যাগের বিষয়টি সরকারি ভাবে তাঁকে জানানো হয়নি। একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, আপাতত পুরপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফাও দিচ্ছেন না।
অন্য দিকে বিজেপি সূত্রে খবর, কংগ্রেস ত্যাগ করে আসা ৫ পুরসদস্যকে নিয়ে এ দিনই গুয়াহাটি গিয়েছেন প্রদেশ বিজেপির উপ-সভাপতি মিশন রঞ্জন দাস। বিজেপি সূত্রে খবর মিলেছে, আগামী কাল তাঁরা বিজেপিতে যোগ দেবেন। এ বার করিমগঞ্জ পুরসভার কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিজেপি অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারে।