Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

সিরিয়ার ভিডিয়ো! গণপিটুনি ধুলেতেও

কিন্তু অনেক সময়েই এই ধরনের ভুয়ো ভিডিয়ো দেখে আদ্যন্ত পেশাদার বলে মনে হয়। এর জেরে অনেকেই এখনও পর্যন্ত এ দেশে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনেরও বেশি মানুষের।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৮ ০৩:৩১
Share: Save:

ছেলেধরা সন্দেহে মহারাষ্ট্রের ধুলে জেলায় পাঁচ জনকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় নয়া মোড়। যে ভিডিয়ো থেকে ধুলের ঘটনার সূত্রপাত, সেই ভিডিয়োটি আসলে সিরিয়ার!

ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, সার সার শোয়ানো রয়েছে শিশুদের মৃতদেহ। হিন্দিতে যে বর্ণনা দেওয়া হচ্ছে, তাতে শোনা যাচ্ছে, ওই বাচ্চাগুলির শরীরের অঙ্গ চুরির জন্য তাদের মেরে ফেলেছে একটি চক্র। কিন্তু একটি খবরের ওয়েবসাইটের দাবি, ওই শিশুগুলি সিরিয়ার। পাঁচ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৩ সালে গ্যাস হামলার বলি হয়েছিল তারা।

এমন দাবি তারা করছে কী ভাবে? ওয়েবসাইটটি আরও দাবি করেছে, পাঁচ বছর আগে সিরিয়ায় ওই গ্যাস হামলার সময় তারা খবর করেছিল। এমনকি, ওই একই সময়ে পাকিস্তানের শিশুচুরির ঘটনা নিয়েও তারা একটি ভিডিয়ো বানিয়েছিল। দু’টোই বেশ চলেছিল। আর এই দু’টো ভিডিয়ো একই সময়ে তৈরি হওয়ায় সেগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় একই সঙ্গে চলেছে।’’

কিন্তু অনেক সময়েই এই ধরনের ভুয়ো ভিডিয়ো দেখে আদ্যন্ত পেশাদার বলে মনে হয়। এর জেরে অনেকেই এখনও পর্যন্ত এ দেশে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনেরও বেশি মানুষের।

যেমন সে দিন ঘটেছিল ধুলেতে। রবিবার সেখানে বাস থেকে নেমেছিলেন ওই পাঁচ জন। অভিযোগ, একটি শিশুর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করতেই ছেলেধরা সন্দেহে স্থানীয়দের একাংশ তাঁদের দিকে পাথর ছুড়তে শুরু করেন। লাঠি, জুতো দিয়েও মারধর করা হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়ায় সেখানে জড়ো হন আশপাশের গ্রামের প্রায় তিন হাজার মানুষ। শুরু হয় বেধড়ক মার। যত ক্ষণে পুলিশ এসে পৌঁছয়, তত ক্ষণে সব শেষ!

ওই ঘটনায় ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও অথৈ জলে পুলিশ। কারা এই ছেলেধরা গুজবের ভুয়ো ভিডিয়ো ছড়িয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে।

এ দিকে অসমের শোণিতপুরের কাটানি গ্রামেও গুজবের বলি হলেন এক জন। ২৯ জুন ছেলেধরা সন্দেহে গ্রামবাসীরা এক বৃদ্ধাকে বিদ্যুৎস্তম্ভে বেঁধে মারধর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে। তেজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। তবে শুক্রবার মারা যান ওই বৃদ্ধা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lynched Death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE