একই পরিবারের ছ’জনের রহস্যমৃত্যুতে তদন্তে নেমেছে উদয়পুর (গ্রামীণ) পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
মেঝেয় পড়ে চার মাসের শিশুসন্তান এবং স্ত্রীর নিথর দেহ। সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছেন স্বামী-সহ দম্পতির আরও তিন সন্তান। সোমবার উদয়পুরে একই পরিবারের ছ’জনের দেহ এ ভাবেই উদ্ধার করল পুলিশ। সংসারে অভাবের জেরেই কি স্ত্রী-সন্তানদের খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই পরিবারের কর্তা, নাকি ছ’জনকে খুন করা হয়েছে? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
একই পরিবারের ছ’জনের রহস্যমৃত্যুতে তদন্তে নেমেছে উদয়পুর (গ্রামীণ) পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, উদয়পুরের গোগুন্দা শহরের বাসিন্দা প্রকাশ গোমেতি এবং তাঁর স্ত্রী দুর্গা গোমেতি-সহ চার শিশুসন্তানের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
প্রকাশের বাড়ির কাছে থাকেন তাঁর দু’ভাই। তাঁদের দাবি, সোমবার সকালে প্রকাশের বাড়ির দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলেও তা খোলেননি কেউ। এর পর পুলিশে খবর দেন তাঁরা। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে বাড়ির ভিতরে ঢুকতেই দেখে, মেঝেয় পড়ে রয়েছে বছর সাতাশের দুর্গার দেহ। তাঁর পাশে ছিল ৪ মাসের শিশুসন্তান। ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে দুর্গার শাড়ি এবং ওড়নার ফাঁসে ঝুলছেন প্রকাশ এবং তাঁদের ৩ শিশু।
উদয়পুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্দন কাঁওরিয়া জানিয়েছেন, গুজরাতে গিয়ে বাসে বাসে খাবার ফেরি করতেন প্রকাশ। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, সংসারে আর্থিক টানাটানির জেরেই এই ঘটনা। ওই পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘বেশির ভাগ প্রমাণই আত্মহত্যার ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে প্রকাশের স্ত্রী এবং এক শিশুর দেহ মেঝেয় পড়েছিল।’’ তদন্তকারীদের অনুমান, স্ত্রী-সন্তানদের খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন প্রকাশ। যদিও ফরেন্সিক এবং ডগ স্কোয়াডের সাহায্যে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy