মাওবাদী হামলার আশঙ্কা যেখানে অহরহ সেই ছত্তীসগড়েই সহকর্মীর গুলিতে ঝাঁঝরা হলেন পাঁচ আইটিবিপি (ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ) জওয়ান। হত্যাকাণ্ড চালানোর পর নিজের সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই জওয়ানও। বুধবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে এ রাজ্যও। আক্রমণকারী আইটিবিপি জওয়ান এ রাজ্যের বাসিন্দা। নিহতদের মধ্যেও রয়েছেন দুই বাঙালি জওয়ান।
ছত্তীসগঢ়ের রাজধানী রায়পুর থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে কাদেনার এলাকায় আইটিবিপি-র ওই শিবিরে রয়েছেন বি-৪৫ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা। ছত্তীসগঢ় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ আইটিবিপি-র কনস্টেবল মাসুদুল রহমানের সঙ্গে অন্য কয়েকজন জওয়ানের বচসা বাধে। তর্কবিতর্ক চলাকালীন নিজের সার্ভিস রাইফেল থেকে আচমকা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন মাসুদুল। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন পাঁচ জওয়ান। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম হন আরও দুই জওয়ানও। এই ঘটনার কথা স্বীকার করে ছত্তীসগঢ় পুলিশের ডিজি, ডিএম অবস্থি বলেন, ‘‘পাঁচ সহকর্মীকে গুলি করে খুন করার পর নিজের রাইফেল দিয়েই আত্মহত্যা করেন ওই জওয়ান। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। আহতদের এয়ার লিফট করে চিকিৎসার জন্য রায়পুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, সে সম্পর্কে জানতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন আইটিবিপি-র আইজি এবং নারায়ণপুরের এসপি।’’
ছত্তীসগঢ়ের কাদেনারের এই ভয়াবহ ঘটনায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন দুই বাঙালি জওয়ান। হামলাকারী জওয়ান মাসুদুল খান যেমন নদিয়ার বাসিন্দা, তেমনই তাঁর চালানো গুলিতেই নিহত হন বর্ধমানের বাসিন্দা সুরজিৎ সরকার এবং পুরুলিয়ার বিশ্বরূপ মাহাতো। এ ছাড়া, নিহতদের তালিকায় রয়েছেন পঞ্জাব, হিমাচলপ্রদেশ এবং কেরলের তিন জওয়ানও।