বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ডাকা বন্ধ উপেক্ষা করেই কাশ্মীরের ৭৯৯ জন তরুণ আজ সেনাবাহিনীতে ভর্তি হওয়ার জন্য পরীক্ষা দিলেন। তাঁরা বুঝিয়ে দিলেন, জঙ্গিপনা বা পাথরবাজি নয়, মূল স্রোতেই থাকতে চান তাঁরা।
নিরপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে গত শুক্রবার রাতে হিজবুল মুজাহিদিন কম্যান্ডার সবজার আহমেদ বাট ও আর এক হিজবুল জঙ্গি ফয়জন মুজফ্ফর নিহত হয়েছে। এর জেরে গত কালই উপত্যকার অন্তত ৭০টি এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়। দু’দিনের বন্ধের ডাক দেয় বিচ্ছিন্নতাকামীরা। প্রশাসনের আশঙ্কা, সবজারের পূর্বসূরি বুরহান ওয়ানি নিহত হওয়ার পরে কাশ্মীরে যে ভাবে অশান্তি ছড়িয়েছিল, এ বারেও তেমনটা হতে পারে। যে কারণে, গত কাল থেকেই কাশ্মীর উপত্যকায় মোবাইলে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামিকাল, সপ্তাহের প্রথম দিনে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে। শ্রীনগরের ৭টি থানা এবং অনন্তনাগ, পুলওয়ামা ও সোপিয়ান জেলায় জারি হয়েছে কার্ফু। পথে কড়াকড়ি বদগাম, গান্ধেরবালেও। সব মিলিয়ে গোটা ভূস্বর্গই থমথমে ছিল আজ। জায়গায় জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে জখম হয়েছে অন্তত ৩০ জন।
একই দিনে অন্য ছবি সেনার পরীক্ষায়। কার্ফুর মধ্যেও পরীক্ষার্থীরা নেমেছিলেন পথে। আলাদা ‘কার্ফু পাস’ লাগেনি। অ্যডমিট কার্ডেই কাজ হয়েছে। পরীক্ষা নেওয়া হয় শ্রীনগর ও পাট্টানে। সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, এর আগে মেডিক্যাল ও শারীরিক ক্ষমতার পরীক্ষায় মোট ৮১৫ জন উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র ১৬ জন কোনও কারণে বাছাই পর্বের পরবর্তী পরীক্ষায় আসেননি বা আসতে পারেননি। কিন্তু বাকি ৭৯৯ জনই এ দিন জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার ও অন্যান্য পদে নিয়োগের অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এক সেনাকর্তার কথায়, ‘‘এটা পরিষ্কার যে, চাপিয়ে দেওয়া বন্ধের ডাককে এঁরা প্রত্যাখান করেছেন। বেছে নিয়ে নিয়েছেন উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ডাককে।’’