Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Fraud Case

ডেটিং সাইটের খপ্পরে ৪৬ লক্ষ টাকা খোয়ালেন ৬৫ বছরের বৃদ্ধ

তখন তাঁকে বলা হয়, ওই মহিলার সঙ্গে আগামী এক বছরের জন্য তিনি ব্যক্তিগত আলাপচারিতা, ভিডিয়ো কলিং ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক করতে পারবেন। তবে এ জন্য তাঁকে ১০ লক্ষ টাকা জমা দিতে হবে।

ভুয়ো ডেটিং সাইটের খপ্পরে পড়ে ৪৬ লক্ষ টাকা খোয়ালেন বৃদ্ধ। অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস।

ভুয়ো ডেটিং সাইটের খপ্পরে পড়ে ৪৬ লক্ষ টাকা খোয়ালেন বৃদ্ধ। অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৯ ১৩:৩৫
Share: Save:

ইন্টারনেট সার্ফ করার সময় ডেটিং সাইটের লিঙ্ক এসেছিল তাঁর সামনে। সেখানে লেখা ছিল, ‘আপনি মহিলাসঙ্গ চান’? এই বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ হয়ে ওই ডেটিং সাইটে রেজিস্ট্রেশন করান মুম্বইয়ের ৬৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ। সময়টা ২০১৮-র মে মাস। তার পর থেকেই ওই ভুয়ো ডেটিং সাইটের খপ্পর গ্রাস করে তাঁকে। কিন্তু ওই বৃদ্ধ যখন বুঝলেন তিনি প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছেন, ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। ডেটিং-এর নেশায় তিনি খুইয়ে ফেলেছেন ৪৬ লক্ষ টাকা।

গত বছর ওই ডেটিং সাইটে রেজিস্ট্রেশন করার পর মীরা নামে এক মহিলা ওই বৃদ্ধকে ফোন করেন। এবং প্রিমিয়াম মেম্বার হওয়ার জন্য টাকা জমা দিতে বলেন। ওই টাকা জমা দেওয়ার পর তিন জন মহিলার ছবি দেখিয়ে তাঁকে বলা হয়, এদের সঙ্গে ডেট করতে পারবেন তিনি। ওই ব্যক্তি যখন একজন মহিলাকে বেছে নেন। তখন তাঁকে বলা হয়, ওই মহিলার সঙ্গে আগামী এক বছরের জন্য তিনি ব্যক্তিগত আলাপচারিতা, ভিডিয়ো কলিং ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক করতে পারবেন। তবে এ জন্য তাঁকে ১০ লক্ষ টাকা জমা দিতে হবে। মহিলা সঙ্গ পাওয়ার নেশায় ১০ লক্ষ টাকা প্রতারকদের দিয়ে দেন তিনি।

কিন্তু ১০ লক্ষ টাকা দিয়েও ছবি দেখে পছন্দ হওয়া ওই মহিলার সঙ্গ পাননি মুম্বইয়ের ওই ব্যক্তি। উল্টে পুলিশ ভেরিকেশন, বিমা এসব নানা ছুঁতোয় তাঁর কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। এর পর রোজি আগরওয়াল নামের এক মহিলার ফোন নম্বর দেওয়া হয় তাঁকে। ওই মহিলাও নানা অছিলায় তাঁকে ফের টাকা দিতে বলেন। কোনও রকম সন্দেহ না করেই সেই টাকাও দিয়ে দেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু এত টাকা দিয়েও যখন তিনি কারও সঙ্গ পেলেন না তখন এই ব্যাপারে সন্দেহ জাগে তাঁর মনে। এমনকি, পরের মীরা ও রোজি কেউই আর তার ফোন ধরছিলেন না।

লজ্জায় এই প্রতারণার কথা নিজের পরিবারকেও জানাতে পারছিলেন না ওই বৃদ্ধ। কিন্তু ওই প্রতারকদের জালে পড়ে যখন তিনি কোনও টাকাই আর ফেরত পেলেন না, তখন বাধ্য হয়ে পরিবারের লোকজনকে সমস্ত ঘটনা খুলে বলেন তিনি। তার পর পরিবারের লোকজনের পরামর্শে মুম্বইয়ের কুরার পুলিশ স্টেশনে সম্প্রতি একটি এফআইআর দায়ের করেন তিনি। ওই প্রতারকদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টিতে ভিজেও কর্তব্যে অটল মিঠুন

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dating Site Mumbai Police Fraud Case Fraud
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE