Advertisement
E-Paper

মাঝ আকাশে বিপত্তি, ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে বিহারে বুক-সমান জলে জরুরি অবতরণ বায়ুসেনার চপারের

বিহারের মুজফ্‌ফরপুরে জলমগ্ন এলাকাতেই জরুরি অবতরণ করল বায়ুসেনার হেলিকপ্টার। মাঝ আকাশ যান্ত্রিক গোলযোগ ধরা পড়ে হেলিকপ্টারটিতে। সেই কারণে জরুরি ভিত্তিতে অবতরণ করাতে বাধ্য হন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:০৩
মুজফ্‌ফরপুরের নয়াগাওঁ এলাকায় জরুরি অবতরণ বায়ুসেনার হেলিকপ্টারের।

মুজফ্‌ফরপুরের নয়াগাওঁ এলাকায় জরুরি অবতরণ বায়ুসেনার হেলিকপ্টারের। ছবি: সংগৃহীত।

বন্যা কবলিত বিহারে ত্রাণ সামগ্রী বিলি করা হচ্ছিল বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে। কিন্তু মাঝ আকাশে আচমকা বিপত্তি। হেলিকপ্টারে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে জরুরি ভিত্তিতে সেটিকে অবতরণ করাতে হয় বিহারের মুজফ্‌ফরপুরের নয়াগাওঁ এলাকায়। বন্যা প্লাবিত এলাকায় প্রায় বুক-সমান জলের মধ্যে হেলিকপ্টারটি নামাতে বাধ্য হন হেলিকপ্টারের পাইলট। হেলিকপ্টারের একটি অংশ জলে ডুবে গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে খবর, বন্যার্তদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য হেলিকপ্টারটি দ্বারভাঙার বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে রওনা দিয়েছিল। হেলিকপ্টারটিতে বায়ুসেনার চার জওয়ান ছিলেন। তাঁদের প্রত্যেককেই উদ্ধার করা হয়েছে এবং প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বিহারের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সচিব প্রত্যয় অমিত জানিয়েছেন, হেলিকপ্টারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে গিয়েছিল। তবে পাইলটের বিচক্ষণতার কারণে বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। তিনি জানান, ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ার পর পাইলটকে হেলিকপ্টারটি জরুরি ভিত্তিতে অবতরণ করাতে হত। তিনি এমন একটি জায়গা বেছে নেন যেখানে জল তুলনামূলক ভাবে কম। এই জায়গাটিতে অবতরণের সময় আশপাশে লোকজনও ছিলেন না।

মুজফ্‌ফরপুরের এসএসপি রাকেশ কুমার বলেন, “হেলিকপ্টারটি অউরাই ব্লকের জলমগ্ন এলাকায় জরুরি অবতরণ করেছে। হেলিকপ্টারে যাঁরা ছিলেন, প্রত্যেকেই বায়ুসেনার কর্মী। স্থানীয় বাসিন্দারাই তাঁদের উদ্ধার করেন। পরে আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন।” মুজফ্ফরপুরের জেলাশাসাক সুব্রতকুমার সেনা জানিয়েছেন, বায়ুসেনার চার জনই আপাত ভাবে অক্ষত রয়েছেন। তা-ও তাঁদের উদ্ধারের পর স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে শারীরিক পরীক্ষার জন্য।”

উল্লেখ্য, নেপালে টানা বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বিহারে। গত কয়েক দিনে রাজ্যের প্রায় অর্ধাংশ জলের নীচে চলে গিয়েছে। ডুবেছে ২৭০টিরও বেশি গ্রাম। জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৬টি করে দল উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, বিহারের ৩৮টি জেলার মধ্যে ১৯টি জেলা বন্যা কবলিত। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১২ লক্ষের বেশি মানুষ, জানিয়েছে প্রশাসন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চম্পারন, কিষাণগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, পূর্ণিয়া, মাধেপুরা, মুফজ্জরপুর, কাটিহারের মতো জেলার বিস্তীর্ণ অংশ। হেলিকপ্টারে করে শুকনো খাবার এবং ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বায়ুসেনার তরফেও।

Bihar Flood IAF Bihar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy