এই গাড়ি থেকেই দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ভুয়ো দলিল বানিয়ে জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। একটি মামলাও হয়েছিল। সেই মামলায় আদালত ডেকে পাঠিয়েছিল। হাজির না হওয়ায় সমন জারি করে। গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে নিজেকে মৃত প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন সদানন্দ শেরিগার নামে এক ভূমি সমীক্ষক (ল্যান্ড সার্ভেয়র)।
তাঁর সহযোগী শিল্পাকে নিয়ে ছক কষে ফেলেন সদানন্দ। দু’জনে মিলে সদানন্দের বয়সি এক ব্যক্তির খোঁজ করতে থাকেন। এবং পেয়েও যান তেমনই এক ব্যক্তিকে। তাঁকে নিজেদের গাড়িতে তুলে বিন্দুর নামে একটি জায়গায় নিয়ে যান সদানন্দ এবং শিল্পা।
ওই ব্যক্তিকে মদ খাওয়ান তাঁরা। শুধু তাই-ই নয়, মদের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিলেন, যাতে সহজে কাজ হাসিল করা যায়। মদ খাওয়ার পরই ওই ব্যক্তি সদানন্দের গাড়ির ভিতরে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। অভিযোগ, তার পরই সদানন্দ এবং শিল্পা দু’জনে মিলে ওই গাড়িটি জ্বালিয়ে দেন। গাড়ির ভিতরে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির।
একটি পোড়া গাড়ি এবং তার ভিতরে পুড়ে যাওয়া একটি দেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়িসমেত ওই দেহটি উদ্ধার করে। তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। পুলিশ জানতে পারে, খুনের সঙ্গে সদানন্দ জড়িত। তার পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাটি কর্নাটকের হেনুবেরুর।
পুলিশ জানিয়েছে, আদালত থেকে সমন পাওয়ার পরই নিজেকে ‘মৃত’ বলে প্রমাণের চেষ্টা করেছিলেন সদানন্দ। আর তার জন্যই এক ব্যক্তিকে খুন করে ঘটনাটিকে এমন ভাবে সাজিয়েছিলেন, যেন মনে হয় সদানন্দকে গাড়ি-সহ জ্বালিয়ে খুন করা হয়েছে। আর তাই প্রমাণ লোপাটের জন্য নিজের গাড়ি ব্যবহার করেছিলেন সদানন্দ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy