খাটো পোশাক পরার শাস্তি বিরাশি সিক্কার থাপ্পড়। ‘রিয়েলিটি শো’-এর সঞ্চালিকা তথা অভিনেত্রী গওহর খানকে চড় কষানো ইস্তক এমনই যুক্তি দিয়ে আসছেন অকিল মালিক। পুলিশের কাছে তিনি জানিয়েছেন, “অভিনেত্রীরা খাটো পোশাক পরা কমালেই অপরাধ কমবে।” কারণ তাঁর বিশ্বাস, যুব-সম্প্রদায়ের মাথা ঘুরিয়ে দিচ্ছেন গওহরের মতো খোলামেলা পোশাক পরা অভিনেত্রীরা। শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে বলিউড। তাঁদের দাবি, পোশাক নিয়ে কোনও নীতিপুলিশি মানা হবে না। কারও আবার প্রশ্ন, “তালিবানি রাজত্বে আছি নাকি?”
বাস্তবিক। গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক হিসেবে নিজের পছন্দের পোশাক পরার অধিকার সকলের রয়েছে। গওহরও তাঁর ব্যতিক্রম নন। কিন্তু পেশায় ‘জুনিয়র আর্টিস্ট’ অকিলের কানে সে সব যুক্তি ঢোকাবে কে? তাঁর সাফ স্বীকারোক্তি তিন দিন ধরে সকলের সামনে গওহরকে খোলামেলা জামা কাপড় পরতে দেখে তিনি নিজেই আকৃষ্ট হচ্ছিলেন। ঠিক যেমনটা প্রত্যেকটি যুবকের হয়ে থাকে। তাঁর নজরে এ ধরনের পোশাক যুব-সম্প্রদায়ের যৌন তাড়নাকে উস্কানি দেয়। তার জেরেই বাড়ে অপরাধ। তা ছাড়া গওহরের ধর্মও এ ধরনের পোশাক পরার অনুমতি দেয় না বলে মনে করেন অকিল। সব মিলিয়ে গওহরকে উচিত ‘শিক্ষা’ দিতেই সকলের সামনে তাঁকে সপাটে চড় কষিয়েছেন তিনি।
সামনে তখন আড়াই হাজার দর্শক। থাপ্পড় খেয়ে বিহ্বল গওহর, মারমুখী অকিল এমন ‘ফুটেজ’ বার বার দেখা গিয়েছে বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে। চাপে পড়ে সংশ্লিষ্ট চ্যানেলটি গওহরকে বলেছিল, চাইলে তিনি সঞ্চালনা মাঝ পথে থামিয়ে দিয়েই চলে যেতে পারেন। তবে সাহসিনী গওহর রাজি হননি। অপমান সত্ত্বেও অনুষ্ঠানের শু্যটিং শেষ করেন।