মহারাষ্ট্রে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধারে প্রশ্ন উঠেছিল, বাংলাভাষীদের যে ভাবে হেনস্থা হতে হচ্ছে দেশের নানা প্রান্তে, ওই ঘটনা তারই জেরে কি না। তবে তদন্তে নেমে সে রাজ্যের পুলিশ শুক্রবার গ্রেফতার করেছে নিহত আবু বক্কর মণ্ডলের বন্ধু আমিনুল মোল্লাকে। আটক করা হয়েছে আবুর স্ত্রী ফতেমা বিবিকে। সম্পর্কের টানাপড়েনের জেরে এই খুন কি না, দেখা হচ্ছে।
উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার নারায়ণপুর পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা আবু বক্কর কয়েক মাস আগে সস্ত্রীক মহারাষ্ট্রের ভাসি থানার ওয়াসিগাঁওয়ে রাজমিস্ত্রির কাজে যান। সেখানে কাজ করেন সন্দেশখালির তুষখালি গ্রামের বাসিন্দা আমিনুলও। বসিরহাট পুলিশ-জেলা সূত্রের খবর, ফতেমার সঙ্গে আমিনুলের ‘ঘনিষ্ঠতা’ বাড়ে বলে তদন্তে জেনেছে মহারাষ্ট্র পুলিশ। সে কথা আবুর কানে উঠলে আমিনুলের সঙ্গে গোলমাল বাধে। স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়। আবুকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন আমিনুল, দাবি তদন্তকারীদের।
২১ জুলাই কাজে বেরিয়ে রাতে ফেরেননি আবু। ভাসি থানায় ডায়েরি করেন ফতেমা। পর দিন আবুর ভাড়াবাড়ির কাছেই একটি ডোবার ধারে, জঙ্গলের মধ্যে তাঁর বস্তাবন্দি খণ্ডিত দেহ মেলে।
মহারাষ্ট্র পুলিশের দাবি, ফতেমার সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানতে পেরে জেরা করা হয় আমিনুলকে। কথাবার্তায় ‘অসঙ্গতি’ মেলায় তাঁকে ধরা হয়। আবুর মা হামিদা বিবি বলেন, ‘‘যে বা যারা আমার ছেলেকে এমন ভয়ঙ্কর ভাবে খুন করেছে, তাদের চরম শাস্তি চাই।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)