Advertisement
E-Paper

৮ কোটি টাকা চেয়ে পাননি, দুই বন্ধুর সাহায্যে স্বামীকে খুন করে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার স্ত্রী

গত ৮ অক্টোবর কোড়াগু এলাকার একটি কফি বাগানে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ তাঁর পরিচয় জানতে পারে। পরে তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ১২:১৯

প্রতীকী ছবি।

স্বামীকে খুন করে দেহ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ উঠল এক মহিলা বিরুদ্ধে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে স্বামীর আট কোটি সম্পত্তি হাতানোর জন্যই খুন করেন ওই মহিলা!

সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মৃত ব্যক্তির নাম রমেশ (৫৪)। তেলঙ্গানায় ব্যবসা করতেন তিনি। গত ৮ অক্টোবর কোড়াগু এলাকার এক কফি বাগানে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ওই দেহ রমেশের। তার পরই তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী নীহারিকাকে গ্রেফতার করে। জেরার মুখে স্বামীকে খুনের কথা স্বীকার নেন তিনি।

পুলিশকে নীহারিকা জানিয়েছেন, শ্বাসরোধ করে রমেশকে খুন করেন তিনি। পরে তাঁর দুই সহযোগীর সাহায্যে গাড়িতে করে দেহ নিয়ে গিয়ে ওই কফি বাগানে ফেলে আসেন। প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় দেহ পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে ফেলা হয়। পুলিশ অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার করে। তাঁর পরিচয় জানতে ওই কফি বাগান এলাকায় যত সিসি ক্যামেরা রয়েছে, তার ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তের গাড়িটি চিহ্নিত করেন তাঁরা। তার পর সেই গাড়িটির গতিবিধির দিকে নজর দেয় পুলিশ। সেই গাড়ির সূত্র ধরেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ জানতে পারে ওই গাড়ি রমেশের নামে নথিভুক্ত। তাঁর ঠিকানায় গিয়ে খোঁজখবর শুরু করেন তদন্তকারীরা। কিন্তু পুলিশকে জানানো হয় রমেশ দিন কয়েক ধরে নিখোঁজ। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ নীহারিকার গতিবিধি লক্ষ করে। তাঁকে বার কয়েক জেরাও করা হয়। লাগাতার জেরার মুখে ভেঙে পড়েন নীহারিকা। পুলিশকে তিনি জানান, তাঁর দুই সহযোগী পশু চিকিৎসক নিখিল এবং বন্ধু অঙ্কুর রানার সাহায্যে খুন করেছেন।

পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, নীহারিকা ১৬ বছর বয়েসে মাকে হারান। তার পরই তিনি বিয়ে করেন, সন্তানও হয়। কিন্তু অশান্তির কারণে সেই বিয়ে টেকে না। বিবাহবিচ্ছেদের পর নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যান তিনি। ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিও লাভ করেন। তেলঙ্গানার বাসিন্দা হলেও বিবাহ সূত্রে তিনি হরিয়ানাতে চলে যান। সেখানেই একটি আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন নীহারিকা। গ্রেফতার হন। জেল খাটার পর বেঙ্গালুরুতে চলে যান। ২০১৮ সালে সেখানেই রমেশকে বিয়ে করেন।

বছর কয়েক সুখেই সংসার করেছিলেন নীহারিকা এবং রমেশ। তবে দিন কয়েক আগে স্বামীর কাছে ৮ কোটি টাকা চেয়ে বসেন নীহারিকা। কিন্তু তা দিতে অসম্মত হন রমেশ। শুরু হয় অশান্তি। তখনই স্বামীকে খুন করে টাকা হাতানোর পরিকল্পনা করেছিলেন নীহারিকা।

Karnataka Death
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy