প্রতীকী ছবি।
আয়কর রিটার্ন, প্যান এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের পর এ বার মোবাইল পরিষেবার ক্ষেত্রেও আধার বাধ্যতামূলক হতে চলেছে। অর্থাৎ নতুন মোবাইল সংযোগ নিতে গেলে যেমন আধার নম্বর থাকাটা বাধ্যতামূলক হতে চলেছে, তেমন পুরনো মোবাইল সংযোগ টিকিয়ে রাখতে গেলেও প্রয়োজন আধার নম্বর। যে নিয়ম প্রিপ্রেড এবং পোস্টপেড দুই ধরনের গ্রাহকের জন্যই প্রযোজ্য হবে। ভুয়ো পরিচয়ে সিমকার্ড নেওয়া বা এক ব্যক্তির নামে একাধিক সিমকার্ড ইস্যু নিয়ন্ত্রণে রাখতেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত।
আধারের ভিত্তিতে অর্থাত্ ই-কেওয়াইসি পদ্ধতিতে সমস্ত মোবাইল গ্রাহকের ফোন নম্বর পুনরায় ভেরিফিকেশনের জন্য দেশের টেলিকম অপারেটরদের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। খুব তাড়াতাড়ি এই ভেরিফিকেশনের কাজ শুরু করতে হবে।
সেলুলার অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া-র ডিজি রাজন ম্যাথুজ জানান, এই কাজের জন্য প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। দেশের ১০০ কোটি মোবাইল পরিষেবা ব্যবহারকারীদের ই-ভেরিফিকেশন কী ভাবে করা যায় সে বিষয়ে আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসবেন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যেরা।
এই নিয়ে টেলিকম দফতরও একটি নোটিস দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ই-ভেরিফিকেশনের বিষয়টি বিজ্ঞাপন, এসএমএস-এর মাধ্যমে গ্রাহকদের জানাতে হবে। সেই সঙ্গে অপারেটরগুলিকে নিজেদের ওয়েবসাইটেও এ বিষয়ে তথ্য দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে থাকতেই হবে আধার নম্বর!
কী ভাবে হবে এই ভেরিফিকেশন?
টেলিকম দফতরের নোটিসে বলা হয়েছে, আধারের ভিত্তিতে এই ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের ফোন নম্বরে ভেরিফিকেশন কোড পাঠাতে হবে অপারেটরদের। তার পর সেই কোড গ্রাহকদের কাছ থেকে ভেরিফাই করতে হবে। এর মাধ্যমে বোঝা যাবে গ্রাহক যে সিমটি ব্যবহার করছেন, সেটা আদৌ তাঁর কি না। আরও বলা হয়েছে, ই-ভেরিফিকেশন শেষ হয়ে গেলে পুরনো গ্রাহকদের সম্পূর্ণ নথি ডেটাবেসে আপডেট করার আগে এসএমএস-এর মাধ্যমে আরও এক বার গ্রাহকের কাছ থেকে ভেরিফিকেশনের বিষয়টি নিশ্চিত হতে হবে অপারেটরদের।
এর জন্য টেলিকম অপারেটররা একটা কমন ডিভাইস ইকো-সিস্টেম পদ্ধতির প্রয়োগ করবেন বলে জানা গিয়েছে। যাতে গ্রাহকদের হয়রানি হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy