কেজরীর নজরে গুয়াহাটি পুরনিগম। ফাইল চিত্র।
দিল্লির পরে পঞ্জাবে সরকার গঠন করে আম আদমি পার্টি এখন উত্তর-পূর্বের দিকে নজর দিচ্ছে। ওই লক্ষ্যেই গুয়াহাটি পুরনিগমে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপানোর কথা জানিয়ে দিয়েছেন দলের নেতারা। ৬০ আসনের পুরনিগমের ভোটে তারা ৪০টিতে প্রার্থী দিয়েছেন।
আপ নেতা মহেশ জোশীর আশা, ৪০ জন প্রার্থীর প্রায় সবাই জয়লাভ করবেন। আপ-ই এ বার পুর নিগম দখল করবে।
তাঁর কথায়, ‘‘গুয়াহাটির মানুষ কংগ্রেস-বিজেপি সবাইকে দেখে নিয়েছেন। কেউ নর্দমা সাফাই, স্বাস্থ্যসেবার মতো জরুরি বিষয়গুলিতে নাগরিক স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে পারেনি। তাই গুয়াহাটিবাসী একটা গ্রহণযোগ্য বিকল্প খুঁজছে এবং আপ-ই সেই বিকল্প বলে দাবি জোশীর।’’
কিন্তু চল্লিশ আসনে প্রার্থী দিয়ে ৩১-এর ম্যাজিক সংখ্যা পার হওয়ার দাবি কি আদৌ বিশ্বাসযোগ্য? এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে আপ নেতা জবাব দেন, ‘‘কিছু দিন আগে পঞ্জাব নিয়েও অনেকে এমন কথাই বলতেন। সেই রাজ্যের মানুষ অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখিয়েছেন। গুয়াহাটিতেও তাই হবে।’’
প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কংগ্রেসকে হিসাবেই আনতে নারাজ আপ নেতৃত্ব। জোশীর কথায়, ‘‘শতবর্ষপ্রাচীন দলটি এখন মৃতপ্রায়। বিজেপির সঙ্গেই তাদের লড়াই হবে।’’ আপের পঞ্জাব জেতার মতোই রাজ্যসভা নির্বাচনে জয়ের আনন্দে এখন টগবগে বিজেপির নতুন সাংসদ পবিত্র মার্ঘেরিটা। মহেশ জোশীর দাবিকে তিনি ফুঁৎকারে উড়িয়ে দেন। তাঁর কথায়, ‘‘গুয়াহাটির মানুষ যথেষ্ট রাজনীতি সচেতন। আপকে দিয়ে কেউ তাঁর মূল্যবান ভোটটি নষ্ট করতে চাইবেন না।’’
এ দিকে পরপর পরাস্ত হলেও মাঠ ছেড়ে যাবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস পরিষদীয় দলনেতা দেবব্রত শইকিয়া। তিনি বলেন, ‘‘গণতন্ত্রে কোনও এক দলের অতি শক্তিশালী হয়ে ওঠা শুভ লক্ষণ নয়। তাই কংগ্রেসকে গণতন্ত্রের স্বার্থেই লড়তে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy