আনন্দ পর্বত এলাকায় একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে খুনের প্রতিবাদে রবিবার উত্তাল হয়ে ওঠে রাজধানী দিল্লি। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে এ দিন দিল্লি পুলিশের প্রধান কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখালেন আম আদমি পার্টির (আপ) সমর্থকরা। ব্যারিকেড ভাঙতে গেলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তিও হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে জল কামান ব্যবহার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশ কমিশনার বি এস বাস্সিকে ডেকে পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। দিল্লির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিন দিন অবনতি হচ্ছে এ রকম অভিযোগ তুলে পুলিশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন কেজরীবাল। রাজধানীর এ রকম পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেছেন মোদী সরকারকেও। পুলিশ কমিশনার বাস্সি এ দিন বলেন, “আমি অবশ্যই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।” তিনি জানান, পুলিশ সম্পর্কে যে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হচ্ছে সে বিষয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন।
শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় গত ১৬ জুলাই দিল্লির আনন্দ পর্বতে তরুণীকে কুপিয়ে খুন করে দুই ভাই। এই ঘটনার পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজধানীর আকাশ। আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রশ্ন তুলে রাজনৈতিক সম্মুখসমরে নেমে পড়ে বিজেপি ও আপ। কেজরীবাল বলেন, ‘রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি খুব খারাপ। কেন্দ্র এর দায় এড়াতে পারে না। প্রধানমন্ত্রীর উচিত এ নিয়ে পদক্ষেপ করা। না পারলে দিল্লির নির্বাচিত সরকারের হাতেই পুলিশের নিয়ন্ত্রণ তুলে দেওয়া হোক। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার কারণেই এ ভাবে মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে দিল্লিতে।’’
বিজেপি পাল্টা অভিযোগ করে কৌশলে নিজের উপর থেকে দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন কেজরীবাল।