দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল। —ফাইল চিত্র।
দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়ালকে রাজ্যসভায় প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিল আম আদমি পার্টি (আপ)। তাঁর পাশাপাশি সঞ্জয় সিংহ এবং এন ডি গুপ্তকে দ্বিতীয় বার রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে দল। প্রসঙ্গত, দিল্লি থেকে রাজ্যসভার এই তিনটি আসনই রয়েছে রাজ্যের শাসক দল আপের দখলে।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়ে এখন জেল হেফাজতে রয়েছেন সঞ্জয়। দল রাজ্যসভায় প্রার্থী হিসেবে ফের তাঁর নাম ঘোষণা করার পরে সঞ্জয় মনোনয়ন পত্রে সই করার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালত তাঁকে সেই অনুমতি দিয়েছে। সে কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষকেও। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে বৈশ্য সমাজের প্রতিনিধি এন ডি গুপ্তকে দ্বিতীয় বারের জন্য মনোনয়ন দিয়েছে দল। স্বাতী মালিওয়ালকে বাছা হয়েছে আপের তৃতীয় প্রার্থী হিসেবে, সুশীল গুপ্তের পরিবর্তে। আপ সূত্রের বক্তব্য, লোকসভার পরেই হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন। সেই রাজ্যে দলের প্রদেশ সভাপতি সুশীল গুপ্ত তাই আসন্ন লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনেই মনোনিবেশ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। সেই কারণেই তাঁর আসনে স্বাতীকে বেছে নেয় দল।
আপের প্রার্থী বাছাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দিল্লির বিজেপি নেতা প্রবীণ শঙ্কর কপূর। তাঁর দাবি, আবগারি দুর্নীতিতে সঞ্জয় সিংহ যাতে মুখ বন্ধ রাখেন, সেই জন্যই রাজ্যসভার টিকিট দিয়ে পুরস্কৃত করা হল তাঁকে। দিল্লিতে পথবাতি না থাকায় রাস্তাঘাট মহিলাদের জন্য নিরাপদ নয়— এই অভিযোগ প্রকাশ্যে তুলে আপ সরকারের পূর্তমন্ত্রী অতিশীকে একাধিক বার অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিলেন স্বাতী। বিজেপির নেতার অভিযোগ, দু’জনের বিবাদ সংঘাত বাড়তে থাকায় স্বাতীকে আসলে রাজ্যসভায় সরিয়ে আনা হচ্ছে।
এ দিনই দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের পদ থেকে ইস্তফা দেন স্বাতী। পদত্যাগপত্রে সই করার পরে দৃশ্যতই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। সহকর্মীরা অনেকেই স্বাতীকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেন। দফতর ছেড়ে গাড়িতে ওঠার সময়েও স্বাতীর চোখে ছিল জল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy