গ্রেফতার আরও এক আপ বিধায়ক। এবং এর জন্য ফের বিজেপিকেই দায়ী করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।
শুক্রবার রাতেই মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিলেন আপ বিধায়ক নরেশ বালিয়াঁ। আর রবিবার সুরাত থেকে গ্রেফতার করা হল বিধায়ক গুলাব সিংহ যাদবকে। দলের তরফে গুজরাতের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁকেই। সূত্রের খবর, ১৩ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে তাঁর বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ করেন দুই ব্যবসায়ী। তার পর থেকেই খোঁজ শুরু হয় গুলাবের। পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই আপ বিধায়ককে বহু বার থানাতেও ডেকে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এক বারও তিনি পুলিশের ডাকে সাড়া দেননি। এর পরই তাঁর বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয় পুলিশ।
শুক্রবার সকালে দিল্লি পুলিশ সুরাতে পা রাখতেই সে খবর পৌঁছে যায় বিধায়কের কানে। এর পরেই উমরা থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন গুলাব। যাওয়ার আগে সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘দিল্লি পুলিশ আমায় নিয়ে যেতে এসেছে। আমি উমরা থানায় গ্রেফতার হতে যাচ্ছি। দিল্লি পুলিশকে সেখানেই আসতে বলেছি।’’ সেই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগকে ভুয়ো বলে দাবি করেছেন বিধায়ক। তাঁর যুক্তি, দিল্লিতে তোলাবাজি করছেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে ১৩ সেপ্টেম্বর। অথচ ৬ সেপ্টেম্বর থেকে টানা সুরাতেই ছিলেন তিনি। একই সুর কেজরীবালের গলাতেও। তিনি এখন গুজরাত সফরেই রয়েছেন। এ দিন বডোদরা থেকে সুরাত যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে গুলাব প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। তাতে তিনি জানান, সুরাতের জনসভায় গোলমাল বাধানোর জন্য এই পরিকল্পনা করেছে বিজেপি।
এর আগেও নানা অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন একাধিক আপ বিধায়কে। তখন কেজরী বলেন, তাঁদের দমিয়ে রাখতেই এমন অবস্থান নিয়েছে কেন্দ্র। এ দিনও সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিজের রাজ্য গুজরাতে আম আদমি পার্টির জনপ্রিয়তা দেখে ভয় পেয়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই আমাদের ১৩ জন বিধায়ককে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের নির্দেশে। যাদবকে গ্রেফতার করে সুরাতের মিছিলে বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অমিত শাহকে অনুরোধ তিনি এমন যেন না করেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy