স্বচ্ছ ভারত দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী। সোমবার দিল্লিতে। পিটিআই
অর্থনীতি নিম্নমুখী। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ভোটে পাল্টাতে শুরু করেছে তিন বছর আগের ধারাবাহিক জয়ের ছবি। বেড়ে চলেছে অসহিষ্ণুতা নিয়ে সমালোচনাও।
এমনই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বললেন, চুপ করে সমালোচনা হজম করছেন। সমালোচনা হজম করার ক্ষমতা বাড়াচ্ছেন ধীরে ধীরে।
এ দিন গাঁধীর জন্মদিনে বিজ্ঞান ভবনে স্বচ্ছতা অভিযান নিয়ে বক্তৃতা করছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিন বছর আগে আজকের দিনেই শুরু করেছিলেন এই অভিযান। প্রধানমন্ত্রী শোনাচ্ছিলেন, যখন থেকে এই অভিযান শুরু হয়েছে, চারদিক থেকে অনেক কটাক্ষ, সমালোচনা হজম করতে হয়েছে। কিন্তু অটল থেকেছেন গাঁধীর পথে। ফলে অনেক কিছুই বদলেছে। কিন্তু আরও বদল দরকার।
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘মোদীকে গাল দেওয়ার অনেক সুযোগ আসবে। কেউ না কেউ সেই সুযোগ করে দেবে। কিন্তু ২০২২ সালে নতুন ভারতের উচ্চতায় পৌঁছতে হবে।’’
কী ভাবে? মোদীর বক্তব্য, এক হাজার গাঁধী, এক লক্ষ মোদী, সব মুখ্যমন্ত্রী মিলে জোর লাগালেও স্বচ্ছ ভারতের স্বপ্ন পূরণ হবে না। একমাত্র ১২৫ কোটি দেশবাসী অংশীদার হলেই সেটা হবে। মোদী বলেন, ‘‘এই কথা বলার জন্য আমার আবার সমালোচনা হবে জানি। কিন্তু সব কাজ শুধু সরকারের এমন মনে করার কারণ নেই। জনতাকে সেটি নিজের কাজ বলে ভাবতে হবে।’’
মোদীর মুখে এ সব শুনে বিরোধীরা বলছেন, মোদী বরাবরই নানা বিষয়ে নিরন্তর টুইট করেন, অথচ বিতর্কিত বিষয়ে চুপ থাকেন। আজ তিনি নিজেই স্বীকার করলেন, সমালোচনার সময় তিনি চুপ থাকার অভ্যাসই তৈরি করছেন। আর এরই সঙ্গে সরকারের দায় জনতার ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন।
কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির যেমন মন্তব্য, ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রী নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন। কিন্তু তিনি তো ভোটে জিতে এসেছেন পাঁচ বছরের জন্য। সেই পাঁচ বছরেই হিসেব দিন আগে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy