অশান্ত জেএনইউ-এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা। ছবি: পিটিআই।
জেএনইউয়ের ভিতরে এত দিন যে সংঘর্ষ আটকে ছিল, আজ তা অন্যত্রও ছড়িয়ে পড়েছে। একটি আলোচনা সভাকে ঘিরে বিতর্কে দিল্লির রামজস ও দৌলতরাম কলেজের সামনে এ দিন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ছাত্র সংগঠন আইসা ও এবিভিপির সমর্থকরা। মাথা ফাটে বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রীর। অভিযোগ উঠেছে শ্লীলতাহানির। আহত হয়েছেন শিক্ষকরাও।
ঝামেলার সূত্রপাত গত কাল। ‘প্রতিবাদের সংস্কৃতি’-নামে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল দিল্লির রামজস কলেজ। বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল উমর খালিদকে। সংসদে হামলার চক্রী আফজল গুরুর সমর্থনে জেএনইউয়ে সভা করার অভিযোগে দেশদ্রোহের মামলা হয়েছিল উমর খালিদ-কানহাইয়া কুমারদের বিরুদ্ধে। জেএনইউয়ের ছাত্র নেতাদের মুক্তির দাবিতে তখন গড়ে ওঠা আন্দোলনে অন্যতম ভূমিকা নিয়েছিলেন শেলা রশিদ। রামজস কলেজে শেলারও বক্তব্য রাখার কথা ছিল। এই ঘটনায় ক্ষেপে ওঠে সঙ্ঘ পরিবারের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। ওই দু’জনের বিরুদ্ধে তারা লাগাতার প্রচার চালায়। শেষ পর্যন্ত দুই বক্তাকে বাতিল করে বাকি অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: পর্যটকদের ক্যামেরায় বেতলার বাঘমামা
তাতে অবশ্য থেমে যায়নি সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন। অভিযোগ উঠেছে, অনুষ্ঠান বাতিলের দাবিতে কাল সারারাত উদ্যোক্তাদের সভাস্থলে আটকে রাখে তারা। আজ অনুষ্ঠান শুরুর চেষ্টা হলে এবিভিপি হামলা চালিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয়। এর প্রতিবাদে মৌরিস থানা পর্যন্ত মিছিল করে জেএনইউয়ের ছাত্র সংগঠন আইসা ও এসএফআইয়ের সদস্যরা। যোগ দেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকও। আইসার মিছিল দৌলতরাম কলেজের সামনে আসতেই রাস্তার উল্টো দিক থেকে পাল্টা মিছিল এগিয়ে আসেন এবিভিপি সমর্থকরা। শুরু হয়ে যায় পাথর ও বোতল ছোঁড়াছুড়ি। মাথা ফাটে বেশ কয়েক জন পড়ুয়ার। শেলা রশিদের অভিযোগ, তাঁকে চুল ধরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় এবিভিপি সমর্থকরা। হত্যার চেষ্টা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সংঘর্ষে জেএনইউয়ের অধ্যাপক প্রশান্ত চক্রবর্তী আহত হন। দৌলতরাম ও রামজস কলেজ দু’টি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy