আগরতলা ও শিলচরের মধ্যে চলাচলকারী ট্রেনে আসন সংরক্ষণ চালু হল। শুরুতে একটি এসি থ্রি টায়ার ও একটি স্লিপার কামরা দেওয়া হয়েছে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্লিপার প্রতি দিন থাকবে। এসি চলবে শিলচর থেকে সোম, বুধ ও শুক্রবার। আগরতলা থেকে মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার। সাধারণ কামরা অবশ্য আগের মতোই। শিলচরের স্টেশন সুপার বিপ্লব দাস জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে প্রতি দিন ১৬ কামরার এক জোড়া ট্রেন চলবে। এসি না থাকা দিনগুলিতে সাধারণ কামরা থাকবে অতিরিক্ত একটি।
সংরক্ষণ বা রিজার্ভেশন চালু হওয়ায় ওই রুটের যাত্রীরা খুব খুশি। রেলেরও রাজস্ব অনেক বাড়বে বলে দাবি করেন তাঁরা। যাত্রীদের যুক্তি, অনেকে ট্রেনে যাতায়াত করতে চাইলেও আসন সমস্যার দিকে তাকিয়ে পিছিয়ে গিয়েছেন। শিলচর থেকে অনেকে আগরতলা যেতে চান। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ বিমানের সুবিধার জন্য আগরতলা থেকে বিমান ধরেন। কেউ কেউ যান ঘুরে বেড়াতে। আর আগরতলা থেকে যাঁরা শিলচর আসেন, তাঁদের বড় অংশ এখানে ডাক্তার দেখান। বাধ্য হয়েই তাঁরা এত দিন সাধারণ আসনে ঠেলাঠেলি করেছেন।
রাস্তা চরম বেহাল থাকায় দুয়েক মাস আগে ট্রেনে পা রাখা মুশকিল ছিল। এখন অবশ্য ধর্মনগর ও কুমারঘাট পর্যন্ত আরও দুই জোড়া ট্রেন প্রতি দিন চালানো হচ্ছে। এতে ভিড় অনেক কমেছে। তবু আগে থেকে আসন পাকা হয়ে গেলে যাত্রা আরামদায়ক হয়।
এ দিকে, শিলচর-গুয়াহাটি ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন সূচি অনুযায়ী, ভোর ৫টার বদলে এখন সেটি সকাল ৭টায় শিলচর থেকে রওনা হবে। তবে গুয়াহাটি থেকে ছাড়ার ট্রেনে সময়ের কোনও হেরফের হয়নি। শিলচর-গুয়াহাটি ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সময় পরিবর্তনের জন্য অনেক দিন ধরে যাত্রীরা দাবি জানাচ্ছিলেন। কারণ ভোর ৫টার ট্রেন ধরতে হলে শহরের মানুষকে গভীর রাতে অটো ধরতে হয়। এতে মুশকিল হয় যাত্রীদের। শহরতলি বা দূর-দূরান্তের যাত্রীদের স্টেশনে গিয়ে রাত জাগা ছাড়া উপায় ছিল না। সকাল ৭টা ট্রেন ছাড়ায় সে সমস্যা মিটতে চলেছে। তবে গুয়াহাটি থেকে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে ছাড়ায় অধিকাংশ যাত্রীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। একেও সামান্য এগিয়ে আনার দাবি এই অঞ্চলের রেলযাত্রীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy