ডিমা জঙ্গি নয়, পাহাড়ি জেলা ডিমা হাসাওয়ে আতঙ্ক তৈরি করছে মূলত ভিন রাজ্যের একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠী। ডিমা হাসাওয়ের লাগোয়া নাগাল্যান্ড, মেঘালয় ও মণিপুর। প্রায় সীমাবর্তী অঞ্চল প্রায় সবটাই পাহাড়ি ও জঙ্গলাকীর্ণ। এই সুযোগে প্রতিবেশী রাজ্যের জঙ্গিরা এসে ডিমা হাসাওয়ে হামলা চালায়। কোথাও গ্রামবাসীদের কাছ থেকে মোটা টাকা দাবি করে। কোনও কোনও গ্রামে আবার জঙ্গিকরের নামে প্রতি মাসে তোলা আদায় করা হয়। অক্ষমতা প্রকাশ করলেই শারীরিক নিগ্রহের শিকার হতে হয় গ্রামবাসীদের। এমনকী হাঁস-মুরগি কেড়ে নেওয়ার ঘটনাও আকছার ঘটে।
তবে এই তিন রাজ্যের মধ্যে আবার নাগাল্যান্ড সীমা সংলগ্ন গ্রামগুলিতেই জঙ্গিদের দৌরাত্ম্য বেশি। এনএসসিএন-এর আইএম এবং খাপলাং উভয় গোষ্ঠীই সে রাজ্যে সংঘর্ষবিরতি মেনে চলেছে। ডিমা হাসাও এই আওতায় নেই বলে তারা পাহাড়ি পথে সীমা ডিঙিয়ে যখন তখন ডিমা হাসাওয়ে ঢুকে পড়ে। আগে এই জেলার সবকটি রাজ্য সীমায় পুলিশ চৌকি ছিল। ১৯৯৬ সালে প্রশাসন
সে সব তুলে নেয়। সেই থেকে নাগাল্যান্ড, মেঘালয় ও মণিপুরের বন্দুকধারীদের ডিমা হাসাওয়ে অবাধ চলাফেরা শুরু হয়। ডিএইচডি-র উভয় গোষ্ঠীর আত্মসমর্পণের পর বিষয়টি মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। তাই জাদিখে নাইসো হসম, ডিমাসা ছাত্র সংস্থা সহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফের সীমান-চৌকি বসানোর দাবি উঠেছে।
ডিমা হাসাওয়ের পুলিশ সুপার ভি শিবপ্রসাদ গাঞ্জালা সমস্যা সম্পর্কে অবগত রয়েছেন বলে জানিয়েও এই সমস্যাকে তীব্র বলে মানতে নারাজ। তিনি বলেন, যখনই অভিযোগ পান বা গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পারেন, সঙ্গে সঙ্গেই অভিযানে নামে পুলিশ। আর সীমা-চৌকি স্থাপনের বিষয়টি যে তাঁর এক্তিয়ারভুক্ত নয় তা আবার জানিয়ে দিয়েছেন পুলিশ সুপার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy