Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

গগৈয়ের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ বজরং দল

পঞ্জাবে জঙ্গিহানার পরিপ্রেক্ষিতে অসমের পরিস্থিতি নিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। উত্তর দিতে গিয়ে মধ্য এশিয়ার আইসিস, অসমের আলফা, উত্তর-পূর্বের এনডিএফবি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে আরএসএস, বজরং দলের তুলনা টানলেন তরুণ গগৈ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৫ ০২:৪১
Share: Save:

পঞ্জাবে জঙ্গিহানার পরিপ্রেক্ষিতে অসমের পরিস্থিতি নিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। উত্তর দিতে গিয়ে মধ্য এশিয়ার আইসিস, অসমের আলফা, উত্তর-পূর্বের এনডিএফবি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে আরএসএস, বজরং দলের তুলনা টানলেন তরুণ গগৈ। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে নাম জড়ানোয় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ওই দুই গেরুয়া সংগঠন। মুখ্যমন্ত্রীকে এ নিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে বলে তারা দাবি করেছে।

অসমে ঘাঁটি গড়ে জনসমর্থন জোগাড়ের কাজ চালাচ্ছে আইসিস— সম্প্রতি এমনই আশঙ্কা ছড়িয়েছে রাজ্যে। স্বাধীনতা দিবসে ওই সংগঠনের জঙ্গিরা অসমে নাশকতা ঘটাতে পারে বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সতর্কবার্তা এসেছে। এ দিন গগৈ বলেন, ‘‘অসমে আইসিসের প্রশিক্ষণ চালানোর খবর অপপ্রচার। রাজ্যে আলফা, বজরং দল, আরএসএস, এনডিএফবি অশান্তি করতে চাইছে। কিন্তু পুলিশ সতর্ক রয়েছে।’’

পাশাপাশি বিজেপির দিকে তোপ দেগে গগৈ বলেন, ‘‘এআইইউডিএফ প্রধান বদরুদ্দিন আজমলের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর দাদা-ভাইয়ের সম্পর্ক। প্রদেশ বিজেপি নেতারা তা-ই আমার বিরুদ্ধে মন্তব্য করলেও, আজমলকে নিয়ে একটিও কথা বলেন না। আজমলের দলও বিজেপির সমালোচনা থেকে দূরে থাকে।’’

অসমে বিজেপি মুখপাত্র শিলাদিত্য দেব মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, ‘‘দলীয় কলহে বিধ্বস্ত কংগ্রেসের ভরাডুবি নিশ্চিত। তাই, এ ভাবে অন্যদের দোষারোপ করে দায় ঝাড়তে চাইছেন গগৈ।’’ এআইইউডিএফের সঙ্গে বোঝাপড়ার কথা উড়িয়ে তিনি বলেন, ‘‘ওঁদের সঙ্গে আমাদের মত ও পথ মেলে না।’’ ২০১৪ সালের ভোটার তালিকাকে নাগরিক পঞ্জির প্রামাণ্য নথি হিসেবে গণ্য করা হবে কি না, তার স্পষ্টীকরণ চেয়ে ফের কেন্দ্রের দ্বারস্থ হচ্ছে অসম।

রাজ্য সরকারের তরফে হলফনামা দিয়ে আর্জি জানানো হয়েছিল, এনআরসির প্রামাণ্য নথি হিসেবে যেন ২০১৪ সালের ভোটার তালিকাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ আজ সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন, সুপ্রিম কোর্টের ২১ জুলাইয়ের নির্দেশে কোথাও ১৯৮৬-২০১৪ সালের ভোটার তালিকাকে মান্যতা দেওয়ার আর্জিকে খারিজ করা হয়নি। নির্দেশে বলা হয়েছে নাগরিক পঞ্জি সংশোধনের কাজ নাগরিকত্ব আইনের ৪-এ-৪ নিয়ম অনুযায়ী হতে হবে। ওই ধারা অনুযায়ী অসমে নাগরিকত্বের ভিত্তি তারিখ ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ।

গগৈ বলেন, ‘‘আমি কখনও এই ভিত্তিবর্ষের বিরোধিতা করিনি। শুধু বলেছি, ২০১৪ সালের ভোটার তালিকা তৈরি হয়েছে ১৯৬৬ ভোটার তালিকার ভিত্তিতেই।’’ তিনি জানিয়েছেন, এই বিষয়ে স্পষ্টীকরণ চেয়ে ফের কেন্দ্রকে চিঠি দেবেন। এনআরসি প্রসঙ্গে গগৈ মন্তব্য করেন, ‘‘অসমে প্রকৃত ভারতীয়দের চিহ্নিত করতে কংগ্রেসই উদ্যোগ নিয়েছিল।’’ কংগ্রেসের নীতিকে সমর্থন করায় আসুকে তিনি ধন্যবাদ জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Tarun Gogoi Bajrang Dal Agitation NRC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE