Advertisement
E-Paper

বুলডোজার এনে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল বিষ্ণুমূর্তি! দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এ বার সীমান্ত সংঘাতে নিশানায় মন্দির

বিতর্কিত ‘পান্না ত্রিভুজ’-এর দখলদারি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে টানাপড়েন চলছে ব্যাঙ্কক-নম পেনের মধ্যে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ২৩:২৮
জেসিবি মেশিন দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে কম্বোডিয়ার একটি মন্দির।

জেসিবি মেশিন দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে কম্বোডিয়ার একটি মন্দির। — ছবি: সংগৃহীত।

কম্বোডিয়া-তাইল্যান্ড সীমান্ত বিরোধের আবহে এ বার নিশানা হল ভগবান বিষ্ণুর মন্দির। জেসিবি মেশিন দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সীমান্তবর্তী কম্বোডিয়ার একটি মন্দির এবং বিষ্ণুমূর্তি। কম্বোডিয়া সরকার এবং মন্দির কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, তাইল্যান্ড সেনার তত্ত্বাবধানে বুলডোজ়ার এনে চলেছে ধ্বংসযজ্ঞ।

যদিও তাইল্যান্ড সরকার অভিযোগের কোনও জবাব দেয়নি এখনও। সংবাদসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ২০১৪ সালে মন্দিরে ওই বিষ্ণুমূর্তিটি স্থাপন করা হয়। ৩২৮ ফুট উচ্চতার মূর্তির অদূরেই তাইল্যান্ড সীমান্ত। সীমান্ত সংঘাতের আবহে কম্বোডিয়ার মাটিতে অনুপ্রবেশ করে হামলা চালায় তাইল্যান্ড ফৌজ। এক বিবৃতিতে মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, “আমরা বৌদ্ধ ও হিন্দু অনুসারীদের পূজ্য প্রাচীন মন্দির এবং মূর্তি ধ্বংসের নিন্দা করছি।”

বিতর্কিত ‘পান্না ত্রিভুজ’-এর দখলদারি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে টানাপড়েন চলছে ব্যাঙ্কক-নম পেনের মধ্যে। তাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া এবং আর এক পড়শি দেশ লাওসের সীমান্তবর্তী ওই ভূখণ্ডের দখল নিয়ে ১৯৬২ সালে আন্তর্জাতিক আদালত (ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস বা আইসিজে) যে রায় দিয়েছিল, তা অনেকটা কম্বোডিয়ার পক্ষেই গিয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরের মে মাসের শেষ পর্বে কম্বোডিয়া সেনা সেখানে শিবির ও পরিখা নির্মাণের তৎপরতা শুরু করার পরে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। জুলাইয়ের গোড়ায় সরাসরি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়া— দুই দেশের সেনাবাহিনী। তাতে দু’তরফেরই বেশ কয়েক জন সেনা ও অসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছিলেন। আতঙ্কে ঘরছাড়া হয়েছিলেন সীমান্তবর্তী এলাকার কয়েক হাজার নাগরিক।

দুই দেশের সীমান্তবিরোধের কেন্দ্রে রয়েছে প্রেয়া বিহার মন্দির। ১১ শতকে তৈরি হওয়া এই মন্দির এখন ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান হিসাবে পরিচিত। কিন্তু মন্দিরের এই এলাকা কার দখলে থাকবে, তা নিয়েও তাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার মধ্যে বিরোধ রয়েছে। আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে এই অংশের দখল কম্বোডিয়ার উপর বর্তানো মেনে নেয়নি তাইল্যান্ড। বার বার তাই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সীমান্ত এলাকা। গত ২৬ অক্টোবর মালয়েশিয়া আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে তাইল্যাল্ড এবং কম্বোডিয়ার মধ্যে স্থায়ী সংঘর্ষবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বকে পাশে বসিয়ে শান্তিচুক্তিতে সই করিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে সোমবার থেকে নতুন করে সংঘাত শুরু হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। গত ১০ নভেম্বর পড়শি দেশ কম্বোডিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি মুলতুবি রাখার কথা ঘোষণা করেছিল তাইল্যান্ড। সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই অনেকের মৃত্যু হয়েছে। সাম্প্রতিক কয়েকটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, তাইল্যান্ডের সেনাবাহিনীর কামান এবং বিমান হামলায় প্রেয়া বিহার মন্দিরের অনেকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মন্দিরের বেশ কয়েকটি প্রবেশদ্বার, মূর্তি এবং ভবনে আঘাত হেনেছে। তার পরেই শান্তিস্থাপনের আহ্বান জানিয়েছিল ভারত।

Thailand-Cambodia Clash Vishnu Temple thailand Cambodia
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy