Advertisement
E-Paper

বরাকে বিক্ষোভের মুখে পরিষদীয় সচিব

নিজের নির্বাচন কেন্দ্রেই তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল গ্রামোন্নয়ন বিভাগের নবনিযুক্ত পরিযদীয় সচিব জামালউদ্দিন আহমেদকে। শপথগ্রহণের পর আজই প্রথম বার করিমগঞ্জে ফেরেন তিনি। তাঁকে স্বাগত জানাতে অসংখ্য কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৪:১৩
কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ। বুধবার করিমগঞ্জে। শীর্ষেন্দু সী-র তোলা ছবি।

কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ। বুধবার করিমগঞ্জে। শীর্ষেন্দু সী-র তোলা ছবি।

নিজের নির্বাচন কেন্দ্রেই তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল গ্রামোন্নয়ন বিভাগের নবনিযুক্ত পরিযদীয় সচিব জামালউদ্দিন আহমেদকে।

শপথগ্রহণের পর আজই প্রথম বার করিমগঞ্জে ফেরেন তিনি। তাঁকে স্বাগত জানাতে অসংখ্য কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। মোটরসাইকেল, গাড়ির বিশাল কনভয় বদরপুরঘাট থেকে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে কালীগঞ্জ পর্যন্ত নিয়ে যায়। কিন্তু মাঝরাস্তায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন জামালউদ্দিন।

পুলিশ সূত্রে খবর, এআইইউডিএফ সমর্থক, ছাত্র সংগঠন আমসু এবং একাংশ স্থানীয় জনগণ ভাঙ্গা এলাকায় তাঁর কনভয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান। মুখে ও হাতে কালো কাপড় ছিল তাঁদের। বিক্ষোভকারীরা জানান, জাতীয় সড়কের বেহাল অবস্থায় দুর্ভোগে বাসিন্দারা। পথচারীদের প্রচণ্ড সমস্যা হচ্ছে। রাস্তায় পুকুরের মতো বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য— উন্নয়ন না হলে মন্ত্রী, পরিষদীয় সচিবের কোনও প্রয়োজনীয়তাই নেই।

স্থানীয় সূত্রে খবর, পরিষদীয় সচিব জামালউদ্দিনকে কালো পতাকা দেখানো হবে এমন খবর গত রাতেই পেয়েছিল পুলিশ। সেই মতো ভাঙ্গা, মকইভাঙ্গা এলাকায় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু আজ আন্দোলনকারীরা শান্ত ভাবে শুধু কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখায়।

পরিষদীয় সচিবের জন্য এ দিন সকালে ভাঙ্গা এলাকায় জাতীয় সড়কে পাথর ফেলার কাজ শুরু হয়েছিল। তার প্রতিবাদ করেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের বক্তব্য ছিল, মাসের পর মাস এলাকাবাসীকে কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে। সে দিকে প্রশাসনের নজর নেই।
কিন্তু পরিষদীয় সচিবদের জন্য তড়িঘড়ি কোনও ভাবে রাস্তা মেরামতির কাজ করা হচ্ছে।

বেহাল সড়কের বিষয়ে গ্রামোন্নয়ন বিভাগের পরিষদীয় সচিব জানান, মেরামতির কাজ যাতে দ্রুত শুরু করা হয় সেই চেষ্টা তিনি করবেন।

জামালউদ্দিনের সঙ্গে পাঁচগ্রাম পর্যন্ত একই সঙ্গে ছিলেন উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক তথা জলসম্পদ বিভাগের পরিষদীয় সচিব কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ। বদরপুরে তাঁরা দু’দিকে চলে যান। কমলাক্ষবাবুকেও অভিনন্দন জানান তাঁর সমর্থকরা।

আজ সারা দিন বৃষ্টি হওয়ায় ভিজে ভিজেই সমর্থকদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন তিনি। নিজের বিভাগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘কোনও কাজের পরিকল্পনার জন্যও এক বছর সময় লাগে। এখন হাতে রয়েছে চার-পাঁচ মাস। তাই উন্নয়নের কাজ কতটা করতে পারব তা এখনই
বলা যায় না।’’

Karimganj Agitation congress
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy