অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। ছবি: পিটিআই।
বিহারের পর এ বার রাজস্থান। নরেন্দ্র মোদী সরকারের ‘চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী সেনা’ নিয়োগের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ক্রমশই বিক্ষোভ দানা বাঁধছে রাজ্যে রাজ্যে। পরিস্থিতি সামলাতে অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োজিত ‘অগ্নিবীর’দের চার বছরের মেয়াদ শেষে নতুন করে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্য।
অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতা করে বুধবার বিহারের গয়া, পটনা, বক্সার, মুজফফ্রপুর-সহ নানা জায়গায় ভারতীয় সেনায় চাকরিপ্রার্থীরা রেললাইন অবরোধ করেন। বৃহস্পতিবার ছপরায় হয় পথ অবরোধ। রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরে বৃহস্পতিবার অগ্নিপথ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে হয়েছে বিক্ষোভ। হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং উত্তরপ্রদেশ থেকেও ক্ষোভের আঁচ মিলেছে। যে রাজ্যগুলির যুবকদের সেনায় যোগদানের হার বেশি, সেখানে আন্দোলনের সুর আরও চড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দেশের যুবকদের চাকরির বড় ভরসা হল ভারতীয় সেনা। চাকরিতে স্থায়িত্বের কারণে গরিব ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের তরুণরা সেনার চাকরিকে বেছে নেন। কিন্তু অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োজিত চুক্তিভিত্তিক ‘অগ্নিবীর’দের চাকরি পাওয়ার চার বছরের মধ্যেই অবসর নিতে হবে। এককালীন কিছু টাকা মিললেও থাকবে না পেনশনের ব্যবস্থা। সে ক্ষেত্রে তাঁদের আবার নতুন করে চাকরির সন্ধান করতে হবে। অনিশ্চিত হয়ে পড়বে ভবিষ্যৎ।
মোদী সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে সেনার অন্দরে স্থায়ী এবং অস্থায়ী কর্মীদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব দেখা দেবে বলেও প্রাক্তন সেনা আধিকারিকদের একাংশ মনে করছেন। তা ছাড়া চার বছরের কাজের শেষে অবসর নেওয়ার চুক্তিতে নিয়োজিত ‘অগ্নিবীরে’রা কেন সীমান্ত সুরক্ষা বা জঙ্গি দমন অভিযানের সময় জেনেবুঝে ঝুঁকি নেবেন, সে প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা। তাঁদের আশঙ্কা, এর ফলে সামগ্রিক ভাবে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর আঁচ আসতে পারে। বিরোধীদের অভিযোগ, সেনাপিছু কোষাগারের খরচ বাঁচাতেই ওই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অবসর নেওয়া ‘অগ্নিবীর’দের আধাসেনায় নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেছেন। হরিয়ানার বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর জানিয়েছেন, তাঁর রাজ্য থেকে অগ্নিপথ প্রকল্পে নিযুক্তেরা অবসরের পর রাজ্য সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। যদিও এমন প্রতিশ্রুতিতে বিক্ষোভ কমার ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy