—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
শারীরিক অসুস্থতার কারণ জানিয়ে গণছুটিতে গিয়েছিলেন কেবিন ক্রুরা। এমনকি ফোনেও যোগাযোগ করা যায়নি তাঁদের সঙ্গে। যার জেরে বুধবার একাধিক বিমান বাতিল করতে বাধ্য হন এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস কর্তৃপক্ষ। এ বার ওই কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার ইঙ্গিত দিল বিমান সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার গণছুটিতে যাওয়া কর্মীদের মধ্যে ৩০ জনকে ছাঁটাই করা হয়েছে। সংস্থার একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বাকি কর্মীদেরও সতর্ক করে জানানো হয়েছে, দ্রুত তাঁরা কাজে যোগ না দিলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।
কর্মীসঙ্কটের জেরে বৃহস্পতিবারও ৮৫টি উড়ান বাতিল করেছে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস। এই সংস্থাটি এয়ার ইন্ডিয়ারই অধীনস্ত সংস্থা। এয়ার ইন্ডিয়া বর্তমানে টাটা শিল্পগোষ্ঠীর মালিকানাধীন। গত মঙ্গলবার থেকেই সংস্থাটিতে অচলাবস্থা শুরু হয়। শারীরিক অসুস্থতার কারণ জানিয়ে গণছুটিতে যান প্রায় ৩০০ জন কেবিন ক্রু। অগত্যা অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বাতিল করতে বাধ্য হয় এয়ার ইন্ডিয়া। জানা যায়, কেবল বুধবারেই ৮৬টি বিমান পরিষেবা বাতিল করেছে তারা।
কেন গণছুটিতে গেলেন কেবিন ক্রুরা? এয়ার ইন্ডিয়াকে টাটা অধিগ্রহণ করার পর থেকেই নানা সমস্যা দেখা দিয়েছিল। নয়া নিয়োগ পদ্ধতি নিয়েই অসন্তোষ কর্মীদের মধ্যে। অনেকের দাবি, ইন্টারভিউতে যে পোস্টের কথা বলা হচ্ছে, আদৌ সেই পদে নিয়োগ করা হচ্ছে না। অনেক কর্মীকেই যোগ্যতার নিরিখে নিচু পদে নিয়োগ করছে সংস্থা। এ ছাড়াও বেশ কিছু কর্মীকে আচমকাই কোনও কারণ না দেখিয়ে বরখাস্ত করা হয় বলে অভিযোগ। এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মী সংগঠন সংস্থাকে চিঠি লিখে এই সব সমস্যার কথাই তুলে ধরেছে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। গণছুটিতে যাওয়া প্রতিবাদের অংশ বলেই মনে করছেন অনেকে।
এর মধ্যে শ্রম কমিশনারের উপস্থিতিতে কর্মী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। তবে সংগঠনের দাবি, যাঁদের ছাঁটাই করা হয়েছে, তাঁদের পুনর্নিয়োগ করা না হলে কোনও কর্মীই কাজে যোগ দেবেন না। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy