দিল্লিবাসী রবিবার ভোরে চোখ খুলতেই দেখলেন আকাশ ঢেকেছে ধোঁয়াশায়। দূষণ সেই আগের মতোই। উল্টে শনিবারের তুলনায় রবিবার অবস্থা আরও খারাপ হল। বাতাসের সামগ্রিক গুণমানের সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ‘অত্যন্ত খারাপ’ পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ড (সিপিসিবি) জানিয়েছে, দেশের রাজধানীতে হাওয়ার গতি ধীর। সে কারণে দূষণকারী বস্তু দিল্লির বাতাসেই থিতু হয়ে থাকছে। অপসারিত হতে পারছে না। তাতে বাড়ছে দূষণ। কেন্দ্রীয় সরকার এবং দিল্লির বিজেপি সরকারকে এই দূষণ নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার ডাক দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী।
সিপিসিবির বলছে, রবিবার সকালে দিল্লির গড় একিউআই ছিল ৩৮৬। যেখানে শনিবার এই মান ছিল ৩০৩। দিল্লিতে এখন হাওয়ার গতি ঘণ্টায় ৮ কিলোমিটারের থেকেও কম। সে কারণে বাতাসে যে দূষণকারী বস্তু রয়েছে, তা সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারছে না। বাতাসের গুণমান নিয়ে সতর্কতা দেয় এমন সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম (একিউইডব্লিউএস) বলছে, হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটারের কম থাকলে দূষণকারী বস্তু ছড়িয়ে পড়তে পারে না। সে ক্ষেত্রে দূষণের মাত্রা আরও বাড়তে থাকে। একিউইডব্লিউএস বলছে, ৪ নভেম্বর, আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত দিল্লিতে বাতাসের গুণমান ‘অত্যন্ত খারাপ’ থাকতে পারে।
সিপিসিবি-র তথ্য অনুযায়ী, একিউআই যদি ০-৫০ থাকে, তা হলে সেটি ভাল। ৫১-১০০ হলে সন্তোষজনক। ১০১-২০০ হলে মাঝারি। ২০১-৩০০ হলে খারাপ। ৩০১-৪০০ হলে অত্যন্ত খারাপ। ৪০১-৫০০ হলে ভয়ানক।
দিল্লিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে মেঘের ‘বীজ’ বোনা হয়েছিল। যদিও কৃত্রিম বৃষ্টি নামেনি। বিমান থেকে রাজধানীর উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে খেকরা, বুরারি, ময়ূরবিহার এবং করোলবাগে মেঘের উপর ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল সিলভার আয়োডাইড জাতীয় রাসায়নিক এবং ভোজ্য লবণ। কৃত্রিম ভাবে বাড়ানো হয় শুষ্ক মেঘের আর্দ্রতা। সাধারণত, এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে যে কোনও সময় বৃষ্টি হয়। তবে দিল্লিতে বৃষ্টি নামেনি।