E-Paper

ডোভালের নিশানায় পাকিস্তান

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মধ্য এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে অর্থনৈতিক সমন্বয় এবং সংযোগ বাড়ানো ভারতের অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৩ ০৬:২১
Ajit Doval.

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। ছবি: পিটিআই।

এক দিকে বেজিংয়ে চলছে তালিবান শাসককে সঙ্গে নিয়ে চিনের মহাযোগাযোগ প্রকল্প ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন। অন্য দিকে, ইজ়রায়েল এবং প্যালেস্টাইনের যুদ্ধে অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে জি২০ মঞ্চ থেকে ঘোষণা করা ভারত-মধ্য এশিয়া-ইউরোপের বাণিজ্য করিডর। এই দুইয়ের মাঝে সমাধান সূত্র খুঁজতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ভারত-মধ্য এশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের দ্বিতীয় বৈঠকটি সারলেন। প্রথম বৈঠকটি হয়েছিল গত বছর নয়াদিল্লিতে। কিন্তু তখন পরিপ্রেক্ষিত ছিল ভিন্ন। কাজ়াখস্তানে আয়োজিত এই বৈঠকে আফগানিস্তান পরিস্থিতি, ভারত-ইউরোপীয় করিডর, সন্ত্রাসবাদের মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ভারত এবং কাজ়াখস্তান ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তাজিকিস্তান, উজ়বেকিস্তান ও কিরগিজ়স্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মধ্য এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে অর্থনৈতিক সমন্বয় এবং সংযোগ বাড়ানো ভারতের অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে। চিন ও পাকিস্তানকে ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে, বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে সংযোগ বাড়ানোর সময় প্রত্যেককেই মনে রাখতে হবে— সেই প্রক্রিয়া যেন সবাইকে সঙ্গে নেওয়া এবং আলোচনার মাধ্যমে গড়ে ওঠে। তাতে যেন স্বচ্ছতা থাকে। প্রত্যেকে যেন অন্য রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে মান্য করে। এর পর সরাসরি পাকিস্তানকে নিশানা করে ডোভাল বলেছেন, মধ্য এশিয়া এবং ভারতের মধ্যে সরাসরি সংযোগ না থাকাটা খুবই বিস্ময়ের। একটি বিশেষ দেশের ক্রমাগত নীতিগত বাধার কারণে এই সংযোগ এতদিনেও গড়ে ওঠেনি। এই বাধাদানে শুধুমাত্র ওই দেশটিই যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা নয়, সামগ্রিক ভাবে এই অঞ্চলের লোকসান হচ্ছে।

পাকিস্তানের জের টেনেই মধ্য এশিয়ার পাঁচ রাষ্ট্রকে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় শামিল হওয়ার ডাক দিয়েছেন ডোভাল। সূত্রের খবর, তিনি জানিয়েছেন, যে কোনও ধরণের সন্ত্রাসবাদ আন্তর্জাতিক শান্তির পক্ষে গুরুতর বিপদ। জঙ্গিপনার পিছনে যে কারণ বা আদর্শের হাতছানিই থাকুক না কেন, তা অযৌক্তিক। জঙ্গি মোকাবিলায় দক্ষতা বাড়াতে পূর্ণাঙ্গ কর্মশালা, এই পাঁচ দেশকে নিয়ে করার প্রস্তাবও দিয়েছে ভারত।

তালিবানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে সে দেশে বিপুল বিনিয়োগ করার কথা ভাবছে চিন। সেখানে খনি প্রকল্পে নিজেদের বিনিয়োগ করতে আগ্রহী তারা। এই পরিস্থিতিতে আজকের বৈঠকে ডোভালের বক্তব্য, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি সবার জন্যই অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। আফগানবাসীর বিভিন্ন সহায়তা প্রকল্পে গভীর ভাবে জড়িয়ে রয়েছে ভারত। এই মুহূর্তে ভারতে আয়োজিত বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশ নিয়েছে আফগানিস্তান। ভারতের একটি সংস্থা তাদের প্রধান স্পনসর। ডোভাল জানান, ভারত চায় কাবুলে সমস্ত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিকে নিয়ে একটি সর্বাঙ্গীন সরকার তৈরি হোক। যে সরকার মাদক এবং সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করবে, সংখ্যালঘু, নারী এবং শিশুদের অধিকার সুরক্ষিত করবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Ajit Doval Pakistan

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy