সনিয়া গাঁধী যখন রাহুলের উত্থানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সেই সময় কংগ্রেসের সহ-সভাপতির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে নতুন দল গড়ার কথা ঘোষণা করলেন অজিত জোগী।
অজিত জোগী ছত্তীসগঢ়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবেই মান্যতা পেতেন। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর ছেলে অমিত জোগীকে দল থেকে বের করে দেওয়ার পর কংগ্রেসের সঙ্গে অজিতের সম্পর্ক তিক্ত হয়। অমিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহের জামাইয়ের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিজেপির এক প্রার্থীকে জেতাতে সাহায্য করেছেন তিনি। ছত্তীসগঢ়ের কংগ্রেস নেতৃত্ব অজিত যোগীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছিলেন। যদিও দলের হাইকম্যাণ্ড সে সুপারিশ চেপে রেখেছে। কিন্তু অজিত জোগী মনে করেন, আনুষ্ঠানিকভাবে না হলেও রাহুল গাঁধী দলের ভার সামলানোর পর থেকেই কংগ্রেস বিভিন্ন প্রান্তে দুর্বল হয়েছে। সে কারণেই এখন তাঁর এক নতুন দল গড়া প্রয়োজন। আগামী ৬ জুন নতুন দলের স্বরূপ ঘোষণা করবেন তিনি।
সরাসরি রাহুলের নাম না নিলেও অজিত জোগী ঠারে ঠারে তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘‘ইন্দিরা গাঁধী মারা যাওয়ার পর রাজীব গাঁধী ও অর্জুন সিংহের কথায় আমি দলে এসেছিলাম। রাজীব আর সনিয়া গাঁধীর জমানায় আমি খুব সম্মান পেয়েছিলাম। কিন্তু লোকসভা ও রাজ্যের ভোটগুলির ফলাফলে স্পষ্ট, কী ভাবে কংগ্রেস বিভিন্ন জায়গায় দুর্বল হয়েছে। তার থেকে বোঝা যাচ্ছে, রাজীব ও সনিয়া গাঁধীর দল এখন বদলে গিয়েছে।’’ নতুন দল গড়ার আগে আর দিল্লি আসবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
উল্টো দিকে ছত্তীসগঢ়ের কংগ্রেস নেতারা জোগীর উপর এতটাই ক্ষিপ্ত যে, তাঁকে দলে রাখার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যাতে কোনও হস্তক্ষেপ না করেন, সেই বার্তাই পাঠিয়েছেন। কিন্তু কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অস্বস্তির বিষয় অন্য। এমনিতেই সাম্প্রতিক বিধানসভা ভোটের পর রাহুল গাঁধীর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের আগে রাহুলের হাতে সভাপতির ব্যাটন তুলে দিয়ে ফের কংগ্রেসকে চাঙ্গা করতে চাইছেন সনিয়া গাঁধী। নতুন দল গড়ে অজিত যোগী সেই ভাবমূর্তিতে আঁচ ফেলতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy