এক বছরে দেশের ১১টি রাজ্যে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা-তিন ফৌজদারি আইন, সম্পূর্ণ ভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানিয়েছেন, দেশে ওই আইন সার্বিক ভাবে রূপায়ণ হতে আরও দু’বছর সময় লাগবে।
ভারতীয় শাসনব্যবস্থায় ব্রিটিশ প্রভাব মুছে ফেলতে ফৌজদারি আইনের খোলনলচে পাল্টাতে উদ্যোগ নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেই লক্ষ্যেই ২০২৩ সালের অগস্টে ভারতীয় দণ্ডবিধি বা আইপিসির পরিবর্তে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ফৌজদারি কার্যবিধি বা সিআরপিসি-র পরিবর্তে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও এভিডেন্স অ্যাক্টের জায়গায় ভারতীয় সাক্ষ্য আইন সংসদে পেশ করে সরকার। সে বছরের ডিসেম্বরে সংসদে শীতকালীন অধিবেশনে ওই তিনটি আইন পাশ হয়। সে সময়েই ঠিক হয়েছিল ১ জুলাই থেকে ওই আইন কার্যকর হবে।
আজ শাহ বলেন, ‘‘ওই সংস্কার জরুরি ছিল। কারণ একটা মোবাইল ফোন সময়ে সময়ে ‘আপডেট’ করতে হয়। কিন্তু ব্রিটিশদেরআইন দেশের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সহ্য করে চলছিল।’’ তাঁর দাবি, দেশের ফৌজদারি আইন ব্যবস্থায় কোনও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া নেই। ফলে অনন্তকাল ধরে একটি মামলা চলতে থাকে। কিন্তু নতুন আইনগুলির সঠিক প্রয়োগ হলে অভিযোগ দায়ের থেকে সুপ্রিম কোর্টে মামলার নিষ্পত্তি দু’বছরের মধ্যে সেরে ফেলা সম্ভব হবে। কারণ নতুন আইনে পুলিশ, আইন ব্যবস্থাকে সময়সীমার মধ্যে বেধে ফেলা হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)