জয়পুরে এভাবেই ভাঙচুর চালিয়েছে ‘ধরোহার বাঁচাও সমিতির’ সদস্যরা।
সঞ্জয় লীলা ভংশালীর পদ্মাবতীর সেটে ভাঙচুরের ঘটনার পর তিন মাসও কাটেনি। ফের শুটিং সেটে তাণ্ডব, ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল রাজস্থানে। জয়পুরের সিটি প্যালেসের কাছে চাঁদনি চকে একটি বিজ্ঞাপনী ছবির শুটিং চলছিল। বিজ্ঞাপনী ছবির সেট নির্মাণ করা হয়েছিল পাকিস্তানি শহরের আদলে। এলাকার বেশ কিছু মন্দিরে এবং প্রাসাদের গায়ে পাকিস্তানের বেশ কিছু পোস্টার লাগায় ছবির কলাকুশলীরা। বেশ কিছু ব্যানারে এমনও লেখা ছিল ‘ওয়েলকাম টু লাহৌর’, ‘করাচি সুইটস’, ‘রাওয়ালপিন্ডি চাওয়ালা’ ইত্যাদি ইত্যাদি। আর এই দেখেই নাকি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয় ‘ধরোহার বাঁচাও সমিতির’ সদস্যরা। প্রযোজক সংস্থার তরফ থেকে জানান হয়েছে, বেশ কিছু স্থানীয় লোকজন এসে ছবির সেটে ভাঙচুর চালিয়ে তছনছ করে দেয়। কয়েকমাস আগেই কর্নি সেনাদল সঞ্জয় লীলা ভংশালীর ‘পদ্মাবতী’র সেটে ভাঙচুর চালায়।
সঞ্জয় লীলা ভংশালীর ‘পদ্মাবতী’র সেটে ভাঙচুর।
গুড মর্নিং ফিল্মস নামের মুম্বইয়ের একটি প্রযোজনা সংস্থা ভোকস্ওয়াগন কোম্পানির একটি বি়জ্ঞাপনী ছবি নির্মান করতে এখানে এসেছিলেন। এই বিষয়ে এখনও বিস্তারিত ভাবে মুখ খোলেননি প্রযোজক সংস্থার কেউ। অভিযোগ প্রায় ৪০ জনের কাছাকাছি ‘ধরোহার বাঁচাও সমিতির’ কর্মী এসে সেটে ভাঙচুর চালায়। ‘ধরোহার বাঁচাও সমিতি’র একজন কর্মী বলছেন ‘এই ধরনের কাজ আমাদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে। কোনও মতেই আমরা এই ধরনের ঘটনা সহ্য করব না।’
তবে পুলিশের দাবি, কোনও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। ধরোহার বাঁচাও সমিতির কর্মীরা খালি পোস্টারগুলি খুলে নিতে বলেন। ছবি নির্মাতারা সে সব পোস্টার খুলেও নেও। আর সেখানেই নাকি বিষয়টা মিটমাট হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: জয়পুরে ভংসালীকে চড়, ক্ষোভে ফুটছে বলিউড
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy