তাঁর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়নি। গ্যাস সিলিন্ডার ফেটেই অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। মৃত্যুর আগে হাসপাতালে নাকি চিকিৎসক এবং নার্সদের এ কথাই জানিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডার বধূ নিকি ভাটি। আর এই তথ্যকে ঘিরেই নিকি হত্যাকাণ্ডের রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে। তবে পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, গ্যাস সিলিন্ডার ফাটার কোনও প্রমাণই মেলেনি ঘটনাস্থলে। আর এখান থেকেই তদন্তকারীদের সন্দেহ, নিকি কি আদৌ এ কথা বলেছিলেন? যদি বলেই থাকেন, তাঁকে কি এ কথা বলার জন্য জোর করা হয়েছিল? এখন এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।
গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগ্নিদগ্ধ হওয়ার তত্ত্ব প্রচার করে কি পুড়িয়ে মারার ঘটনাকে ঘুরিয়ে দেওয়ার কোনও ষড়যন্ত্র চলছে? তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। নিকির স্বামী, শাশুড়ি এবং ভাশুর সকলেই একযোগে বয়ান দিয়েছেন যে, চিকিৎসক এবং নার্স সকলেই জানিয়েছেন যে, নিকিকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল, তখনও তিনি কথা বলছিলেন। অথচ নিকির দিদি কাঞ্চন অভিযোগ তুলেছেন, নিকিকে মারধরের পর তাঁর গায়ে দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, নিকির দিদির বয়ান এবং ঘটনার সময় সিসিটিভি ফুটেজ এবং কাঞ্চনের ভিডিয়োগুলির পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে কোথায় অসঙ্গতি রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, যে হাসপাতালে নিকিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেই হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করেছে পুলিশ। সেখানে নিকির প্রতিবেশী দেবেন্দ্রকে গাড়ি চালাতে দেখা গিয়েছে। পিছনের আসনে ছিলেন নিকি, তাঁর শাশুড়ি এবং শ্বশুর। নিকির ভাসুর রোহিতকেও ওই ফুটেজে দেখা গিয়েছে। কে সত্যি বলছেন, কে মিথ্যা বলছেন, এখন সেটাই চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। দ্বিতীয় বার নিকির দিদির বয়ান নেওয়া হয়েছে। তবে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে নিকির মৃত্যুর যে তত্ত্ব, সেটিই তদন্তকে আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে বলে তদন্তকারীদের একাংশের দাবি। প্রসঙ্গত, গত ২১ অগস্ট নিকিকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে তাঁর শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় নিকির স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি এবং ভাশুর গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু এই ঘটনায় দু’রকম তত্ত্ব উঠে আসায় রহস্য আরও বেড়েছে।