Advertisement
E-Paper

বন্ধুত্ব পাতিয়ে বিয়ে, তার পর সমস্ত লুট করে চম্পট! বিহারে বিয়ের প্রতারণাচক্রের হদিস, ধৃত চার ভুয়ো কনে-সহ ন’জন

পুলিশ সূত্রে খবর, পশ্চিম চম্পারণ জেলায় রীতিমতো অফিস বানিয়ে চলছিল এই প্রতারণাচক্র। বেছে বেছে বিত্তবান পুরুষ এবং মহিলাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতানো হত।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২৫ ১২:৩৭
বিহারে বিয়ের প্রতারণাচক্রের হদিস। ছবি: সংগৃহীত।

বিহারে বিয়ের প্রতারণাচক্রের হদিস। ছবি: সংগৃহীত।

বিহারে বিয়ের এক বড় প্রতারণাচক্রের হদিস পেল পুলিশ। রমরমিয়ে সেই ব্যবসা চলছিল। কিন্তু বেশ কয়েকটি লুটের ঘটনা নিয়ে তদন্ত করতে গিয়েই ওই চক্রের খোঁজ পেল পুলিশ। এই ঘটনায় চার নকল কনে-সহ ন’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, পশ্চিম চম্পারণ জেলায় রীতিমতো অফিস বানিয়ে চলছিল এই প্রতারণাচক্র। বেছে বেছে বিত্তবান পুরুষ এবং মহিলাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতানো হত। বিবাহিত মহিলা এবং পুরুষদের একটি দল এই কাজ করতেন। প্রথমে বন্ধুত্ব পাতানো, তার পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে সেই সম্পর্ককে বিয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে নিয়ে যেতেন। বিয়ে হয়ে গেলেই সুযোগ বুঝে ‘সঙ্গী’র টাকা, গয়না লুট করে নিয়ে পালাতেন।

কী ভাবে এই প্রতারণার চক্র চলত? পুলিশ জানিয়েছে, মূলত মহিলা সদস্যদের এই কাজে বেশি করে নিয়োগ করা হত। এমন ভাবে গোটা ঘটনাটিকে সাজানো হত যে, কোনও ভাবেই আঁচ করা সম্ভব ছিল না যে, পুরোটাই একটি প্রতারণা। পুলিশ সূত্রে খবর, বিয়ের পর বেশ কয়েকটি লুটের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তদন্তে নামে পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বেতিয়া এলাকা থেকে চার মহিলা এবং পাঁচ জন পুরুষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছে এই প্রতারণাচক্রের পান্ডা আহমেদ আলিও। ধৃতদের কাছ থেকে একটি এসইউভি, দু’টি বাইক, বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রকাশ সিংহ জানিয়েছেন, এই গ্যাং মূলত বেতিয়ার বাগাহা এলাকায় সক্রিয় ছিল। এই প্রতারণাচক্র বিহার ছাড়িয়েও অন্য রাজ্যে বিস্তৃত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।

Bihar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy