আরও পড়ুন: সচিবালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে টিতাবাঘ! সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আঁতকে উঠলেন নেতা-মন্ত্রীরা
বন দফতরের কর্মীরা জানান, গ্রামবাসীরা দল বেঁধে জঙ্গলের কোর অঞ্চলে ঢুকে পড়েন। তাঁদের বাধা দিলে প্রথমে তাঁরা ফরেস্ট গার্ডদের মারধর করেন, বন দফতরের একটি ট্রাক্টরও ছিনিয়ে নেন। তারপর বাঘিনীটাকে খুঁজে বার করে লাঠি দিয়ে তাকে পিটিয়ে জখম করে ফেলেন গ্রামবাসীরা। এতেও ক্ষান্ত হননি তাঁরা। ওই ট্রাক্টরও তার উপর দিয়ে চালিয়ে দেন।
দেখুন ভিডিয়ো:
দুধওয়া ন্যাশনাল পার্কের ডিরেক্টর মহাবীর কোজিলাঙ্গি বলেন, ‘‘কিছু সমাজবিরোধী এই কাজ করেছে। আমরা এদের অনেকজনকে চিহ্নিত করতে পেরেছি। তাদের নামে এফআইআর করা হবে। পুলিশকে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’’
আরও পড়ুন: মানুষখেকো ‘অবনী’কে মারা হল মহারাষ্ট্রে
গ্রামবাসীরা অবশ্য নিজেদের কোনও দোষ খুঁজে পাচ্ছেন না এতে। গ্রামবাসীদের একাংশ জানিয়েছেন, গত দু’সপ্তাহ ধরে বাঘটা তাঁদের গবাদিপশু খেয়ে ফেলছিল। বন দফতরে এই নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
শুক্রবার রাতে মহারাষ্ট্রের রালেগাঁও জেলার যবতমলে একটি বাঘিনীকে গুলি করে মারা হয়। বাঘিনী অবনী মানুষখেকো হয়ে পড়েছিল। গত দু’বছরে অবনীর পেটে যায় ১৩ জন মানুষ। পরে তাকে মারার সিদ্ধান্ত নেয় বন দফতর। এর জন্য মহারাষ্ট্রের বনমন্ত্রী সুধীর মুনগন্টিওয়ারকে দায়ী করছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মেনকা গাঁধী। আর রবিবারের ঘটনার পর বাঘিনীটির ছবি দিয়ে টুইট করে নিন্দা জানিয়েছেন অভিনেতী রণদীপ হুডা-সহ অনেকে। রণদীপ হুডা টুইট করেন, ‘আরও একটি বাঘিনীকে নির্মমভাবে খুন করা হল। শুধুমাত্র সে একটা মানুষকে হামলা করেছিল বলে। মানুষ এবং বন্যপ্রাণীর মধ্যে সংঘাত রুখতে একটা বিশেষ দল প্রয়োজন।’
২০১৪ সালে দেশব্যাপী যে বাঘ গণনা হয়েছিল, তাতে ভারতে ২,২২৬টি বাঘ ছিল। প্রতি চার বছর অন্তর এই গণনা হয়। ২০১৮ সালের শেষে ফের গণনা হওয়ার কথা।