Advertisement
E-Paper

নির্যাতিতার বয়ানে অসঙ্গতি, মিলছে না ফরেন্সিক নমুনাও! নিগ্রহে অভিযুক্তকে অন্তর্বর্তী জামিন দিল দিল্লি হাই কোর্ট

১০ বছর বয়সে যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল নাবালিকা। এখন তার বয়স ১২। তার বয়ানে অসঙ্গতির কারণে আদালত অভিযুক্তকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২৫ ১৪:০৬
নাবালিকাকে যৌন হেনস্থায় অভিযুক্তের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর।

নাবালিকাকে যৌন হেনস্থায় অভিযুক্তের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

নাবালিকাকে যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত ব্যক্তি অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন দিল্লি হাই কোর্ট থেকে। নির্যাতিতার বয়ানে অসঙ্গতি দেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদালত। তবে এখনও বিচারের প্রাথমিক পর্যায় চলছে। আদালত জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত যা তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তার ভিত্তিতে অভিযুক্তের অন্তর্বর্তী জামিনের আর্জি মঞ্জুর করা হল।

অভিযোগকারী নাবালিকার বর্তমান বয়স ১২। ২০২৩ সালে ১০ বছর বয়সে সে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার নালিশ জানিয়েছিল থানায়। অভিযুক্ত তাদেরই প্রতিবেশী। পেশায় নাপিত। কিন্তু এই ঘটনার ফরেন্সিক তথ্যপ্রমাণে অভিযুক্তের উপস্থিতির কোনও প্রমাণ মেলেনি। নাবালিকাও বয়ান বদলে ফেলেছে বলে অভিযোগ।

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম থানায় যায় নাবালিকা। নিজের বাবার নামে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করে। তার ভিত্তিতে এফআইআর করে পুলিশ নাবালিকার বাবাকে গ্রেফতার করেছিল। পরে তিনি জামিন পান। ওই বছরেরই অক্টোবর মাসে নাবালিকার মা থানায় গিয়ে জানান, বাবা নন, তাঁর কন্যার যৌন হেনস্থা করেছেন প্রতিবেশী নাপিত। এত দিনে কন্যা সত্য প্রকাশ করেছে। এর আগে তাঁর নাম বলা হয়নি কারণ, তিনি প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন নাবালিকাকে। এর পর অভিযুক্ত ওই নাপিতকেও ধরে পুলিশ। মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে তিনি দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।

দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি রবীন্দ্র ডুডেজা জানিয়েছেন, নাবালিকার বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘অভিযোগ সম্বন্ধে এই পর্যায়ে কোনও পর্যবেক্ষণ জানানো ঠিক হবে না। তা বিচারপ্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। কিন্তু এটা বলাই বাহুল্য যে, নাবালিকার বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে।’’

নাবালিকার নমুনা সংগ্রহ করে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। কোনও পুরুষের ডিএনএ তাতে পাওয়া যায়নি। আদালতের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, নাবালিকার বয়ানের সঙ্গে ফরেন্সিক প্রমাণ অসঙ্গতিপূর্ণ।

অভিযুক্তের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেলের সঙ্গে এই মামলার কোনও যোগ নেই। এফআইআরেও তাঁর নাম ছিল না। বাবার নাম আড়াল করতে পরে তাঁকে টেনে আনা হয়েছে। নাবালিকার মা এই কাজ করিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন মামলাকারী। তাঁর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে আদালত জানায়, তাঁকে ব্যক্তিগত বন্ডে মুক্তি দিতে হবে।

Delhi High Court Sexual Harassment POCSO Case Minor Abuse
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy