সংসদের বাদল অধিবেশনে নরেন্দ্র মোদী সরকারের পক্ষে জমি অধিগ্রহণ বিল পাশ করানো কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ল।
লোকসভায় জমি বিল পাশ হলেও রাজ্যসভায় বাধার জেরে জমি বিল সংসদীয় কমিটিতে পাঠাতে বাধ্য হয়েছিল মোদী সরকার। ঠিক হয়েছিল, বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনই কমিটি রিপোর্ট পেশ করবে, যাতে সরকারের হাতে যথেষ্ট সময় থাকে। ২১ জুলাই বাদল অধিবেশন শুরু হচ্ছে। সেই দিনই রিপোর্ট পেশ করার কথা। কিন্তু আজ কমিটিতে কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতাদের চাপে ঠিক হয়েছে, আরও দু’সপ্তাহ পরে রিপোর্ট পেশ হবে। ১৩ অগস্ট অধিবেশন শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু রিপোর্ট পেশ হচ্ছে অগস্টের প্রথম সপ্তাহে। অর্থাৎ সরকারের হাতে বিশেষ কোনও সময় থাকবে না।
আজ সংসদীয় কমিটির শুরুতে চেয়ারম্যান সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়ালিয়া নিজেই প্রস্তাব দেন, রিপোর্ট তৈরির জন্য আরও সময় নেওয়া হোক। কংগ্রেসও তাতে রাজি হয়। প্রস্তাব আসে, আরও দু’সপ্তাহ সময় নেওয়া হোক। কিন্তু কংগ্রেসের দিগ্বিজয় সিংহ দাবি তোলেন, ১৩ অগস্ট, অর্থাৎ সংসদের অধিবেশনের শেষ দিনে রিপোর্ট পেশ করা হোক। অহলুওয়ালিয়া যুক্তি দেন, স্পিকার তা মেনে নেবেন না। কাজেই দু’সপ্তাহ বাড়তি সময় নেওয়া হোক।
এ সময় তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন কমিটিতে নাটকীয় ভাবে দাবি তোলেন, এখনও পর্যন্ত ৪৪টি সংগঠন কমিটির সামনে মত দিয়েছে। তার মধ্যে ৪২টিই এর বিরোধিতা করেছে। যে পাঁচশো লিখিত মতামত কমিটির কাছে জমা পড়েছে, তার মধ্যেও দু’-একটি বাদে সবগুলিতে বিরোধিতা করেছে। কাজেই এই বিলটি ফেরত পাঠানো হোক। সঙ্গে সঙ্গে দিগ্বিজয়ও তৃণমূলের যুক্তিতে সমর্থন করেন। অহলুওয়ালিয়া দিগ্বিজয়কে প্রশ্ন করেন, একটু আগে দু’সপ্তাহ দেরিতে রাজি হয়ে এখন আবার কংগ্রেস বিল ফেরত পাঠাতে চাইছে কেন? কমিটিতে বিজেপি সদস্যরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাই ভোটাভুটিতে ঠিক হয়, দু’সপ্তাহ পরেই রিপোর্ট পেশ করবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও যে মোদী সরকারের হাতে বিল পাশ করানোর জন্য বিশেষ সময় থাকবে না, তাতে কংগ্রেস-তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপি নেতারাও একমত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy