প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে ১ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা খোয়ালেন এক বৃদ্ধা। সম্প্রতি দিল্লিতে ঘটনাটি ঘটেছে। তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই হিমাচল প্রদেশ ও বিহার থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। এখনও পর্যন্ত ১৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা গিয়েছে। বাকি টাকাও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
ভুক্তভোগী বৃদ্ধা দক্ষিণ দিল্লির বাসিন্দা। তাঁর প্রয়াত স্বামী সরকারি কর্মচারী ছিলেন। দম্পতির একমাত্র মেয়ে থাকেন বিদেশে। অভিযোগ, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বৃদ্ধাকে প্রথম বার ফোন করে প্রতারকেরা। সরকারি আধিকারিক সেজে বৃদ্ধাকে গ্রেফতারির ভয় দেখানো হয়। সে কথা বিশ্বাসও করে নেন ওই বৃদ্ধা। গ্রেফতারি এড়াতে প্রতারকদের কথা মতো ব্যাঙ্কে গিয়ে দফায় দফায় ১ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা পাঠান তিনি।
আরও পড়ুন:
পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (অপরাধ) আদিত্য গৌতম বলেন, ‘‘গত ২৫ এপ্রিল সরকারি কর্তা সেজে ওই বৃদ্ধাকে ভিডিয়ো কল করে প্রতারকেরা। তার পর তাঁকে ডিজিটাল অ্যারেস্টের ভয় দেখিয়ে ক্রমাগত মানসিক চাপ দিয়ে মোট ১.১৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।’’ তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই টাকার একটি বড় অংশ, প্রায় ১.১০ কোটি টাকা, ঢুকেছে হিমাচল প্রদেশের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অ্যাকাউন্টে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অ্যাকাউন্টটি বিহারের পটনার এক দল প্রতারকদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিল। শুধু তা-ই নয়, আরও জানা যায়, অতীতে জাতীয় সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টাল (এনসিআরপি)-এ ওই একই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ৩২টি প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। লেনদেন হয়েছে প্রায় ২৪ কোটি টাকা!
এর পরেই হিমাচল প্রদেশ এবং বিহারের একাধিক স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় তিন জনকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম প্রভাকর কুমার, রূপেশকুমার সিংহ এবং দেব রাজ৷ ওই প্রতারণা চক্রে আর কারা জড়িত, জানতে তদন্ত চলছে। খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধারেরও চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।