কার্গিল বিজয় দিবসে ‘রুদ্র’ নামে একটি নতুন ব্রিগেড গড়ার কথা ঘোষণা করল সেনা। অন্য দিকে সেনাদের পারিবারিক সমস্যায় আইনি সহায়তা দিতে নতুন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করল বিচারবিভাগ।
এ দিন কাশ্মীরে সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী অবসরপ্রাপ্ত সেনা জওয়ান এবং সাধারণ নাগরিকদের নিয়ে এক অনুষ্ঠানে ‘কার্গিল বিজয় দিবস’ নিয়ে এক অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’ এর প্রসঙ্গ টেনে জানান, ওই অভিযানে শুধু নির্ণায়ক জয় আসেনি, পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষাও দেওয়া গেছে। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারতীয় সেনা কী ভাবে পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গিশিবির গুঁড়িয়ে দিয়েছে, তার ব্যাখ্যাও দেন তিনি। পাশাপাশি এ দিন তিনি ‘রুদ্র’ নামে নতুন এক ব্রিগেড গড়ার কথা ঘোষণা করেন। বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র এবং দক্ষ সেনার সমন্বয়ে গড়া হবে এই নতুন ব্রিগেড। আধুনিক যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি এবং বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের মোকাবিলায় এই বাহিনী কার্যকর ভূমিকা নেবে বলে জানান তিনি।
অন্য দিকে ভারতীয় সেনায় কর্মরতদের পাশে থাকতে নতুন এক উদ্যোগেরও সূচনা হল শনিবার। এখন থেকে সেনাদের পারিবারিক মামলার ভার নিতে উদ্যোগী হয়েছে বিচারবিভাগ। এ দিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে একটি সম্মেলনে যোগ দিয়ে এই ঘোষণা করেন। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘নালসা বীর পরিবার সহায়তা যোজনা ২০২৫’। ‘নালসা’র পুরো নাম হল ‘ন্যাশনাল লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি’। সেই কমিটির এগ্জ়িকিউটিভ চেয়ারম্যান বিচারপতি সূর্য কান্ত। এই প্রকল্পের মূল কথা, ‘তোমরা সীমান্তে দেশের সেবা কর, আমরা তোমাদের পরিবারের খেয়াল রাখব।’ সেনার পাশাপাশি এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন বিএসএফ, সিআরপি, আইটিবিপি-র সদস্যেরাও।
কার্গিল যুদ্ধে পাক সেনাবাহিনীকে হারিয়ে বিজয় উপলক্ষে শনিবার ‘কার্গিল বিজয় দিবস’-এ নিহত জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী-সহ সরকার ও সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্তারা। প্রধানমন্ত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এই দিনটিকে স্মরণ করে লেখেন, ‘ভারতীয় সেনার শৌর্যবীর্যের ইতিহাস মনে করায় কার্গিল বিজয় দিবস। মাতৃভূমির জন্য তাঁদের আত্মত্যাগের চেতনা প্রতিটি প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।’ রাষ্ট্রপতি মুর্মু তাঁর বার্তায় লেখেন, ‘মাতৃভূমির জন্য জীবন উৎসর্গকারী বীর জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাই। এই দিনটি আমাদের সেনার বীরত্ব, সাহস এবং দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। তাদের আত্মত্যাগ দেশবাসীকে চিরকাল অনুপ্রাণিত করবে।’ সকালে দিল্লিতে ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ৷ উপস্থিত ছিলেন সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান, নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ ত্রিপাঠী এবং বায়ুসেনার প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিংহ৷ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘কার্গিল বিজয় দিবসে শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাই। তাঁদের আত্মত্যাগ দেশবাসী সারা জীবন মনে রাখবে।’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)