সীমান্ত বরাবর দু’দেশের বাহিনী মুখোমুখি দাঁড়িয়ে পড়ায় ডোকালাম ঘিরে যুযুধান উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। দুই বাহিনী সরে যাওয়ায় আপাতত স্থিতাবস্থা বহাল আছে সেখানে। কিন্তু চোরা উত্তাপ রয়েছেই। এই পরিস্থিতিতে উত্তর-পূর্ব ভারতে সেনাবাহিনী কতটা প্রস্তুত, তা নিয়ে কলকাতায় বৈঠক করলেন সেনাধ্যক্ষ জেনারেল বিপিন রাওয়ত।
বৃহস্পতিবার এক দিনের জন্য ফোর্ট উইলিয়ামে এসেছিলেন রাওয়ত। সেখানেই জিওসি-ইন-সি ইস্টার্ন কম্যান্ড লেফটেন্যান্ট জেনারেল অভয় কৃষ্ণ-সহ পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন সেনাপ্রধান। সরকারি ভাবে এটাকে সেনাপ্রধানের ‘রুটিন-বৈঠক’ বলা হয়েছে। তবে সেনা সূত্রের খবর, ডোকালাম ছাড়াও চিনের সঙ্গে সীমান্তে আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য সেনাবাহিনী কতটা প্রস্তুত, সেটাই ছিল বৈঠকের মূল আলোচ্য। উত্তর-পূর্বে ভোটের আগে জঙ্গি দমন অভিযান জোরালো করার ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে।
মলদ্বীপের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে ভারত। বন্ধু রাষ্ট্র মলদ্বীপে চিনা প্রভাব নিয়েও শঙ্কিত দিল্লি। এই পরিস্থিতিতে চিন যে-কোনও সময়েই উত্তর-পূর্বে ফের গোলমাল পাকাতে পারে বলে মনে করছেন সেনা গোয়েন্দাদের একাংশ। কিন্তু কূটনৈতিক দিকটি মাথায় রেখেই সরকারি ভাবে এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করছেন না সেনাকর্তারা। এক সেনা মুখপাত্রের মন্তব্য, ‘‘ইস্টার্ন কম্যান্ডে বৈঠক হবে অথচ চিনের প্রসঙ্গ উঠবে না, এটা তো হতে পারে না। কিন্তু সরকারি ভাবে বিবৃতি দেওয়ার মতো পরিস্থিতি এখন নেই।’’
সেনা গোয়েন্দারা মনে করছেন, নাগাল্যান্ড-সহ উত্তর-পূর্বে ভোটের আগে মাথাচাড়া দিতে পারে জঙ্গিরা। তাদের পিছনে চিনা মদতের অভিযোগও তুলছেন তাঁরা। সেই জন্যই ওই সব এলাকায় জঙ্গি দমন অভিযান ও গোয়েন্দা সক্রিয়তা বাড়াতে বলা হয়েছে। সেনা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ইস্টার্ন কম্যান্ডের প্রস্তুতি দেখে সেনাপ্রধান মোটামুটি সন্তুষ্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy