Advertisement
E-Paper

সেনা প্রহরায় এখনও থমথমে অরুণাচল 

বিক্ষিপ্ত কিছু ভাঙচুরের ঘটনা ছাড়া ইটানগরে আজ বড় কোনও হিংসা বা অবরোধের ঘটনা ঘটেনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:৩৬
দাউদাউ: একটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। সোমবার ইটানগরে। পিটিআই

দাউদাউ: একটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। সোমবার ইটানগরে। পিটিআই

বিক্ষিপ্ত কিছু ভাঙচুরের ঘটনা ছাড়া ইটানগরে আজ বড় কোনও হিংসা বা অবরোধের ঘটনা ঘটেনি। গত রাতেই মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নিয়ে জানান, রাজ্য সরকার আর কখনও অ-অরুণাচলিদের স্থায়ী আবাসিক শংসাপত্র (পিআরসি) দেওয়ার চেষ্টা করবে না। এর পর আজ রাতে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর পুলিশের গুলিতে নিহত তিন জনের পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি পরিবারের একজনকে চাকরির দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। জখমদের ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

তবে স্বাধীনতার অনেক আগে থেকে অবিভক্ত ‘নেফা’র নামসাই ও চাংলাং এলাকায় বসবাসকারী অসমের দেউড়ি, সোনোয়াল কছারি, মিসিং, মরান জনজাতি ও বিজয়নগরের বাসিন্দা গোর্খাদের অরুণাচলের স্থায়ী বাসিন্দার সার্টিফিকেট পাওয়ার আশা আপাতত শেষ হয়ে গেল। যদিও মরাণ ও গোর্খা ছাত্র সংগঠন আজ জানিয়েছে, পিআরসি তাঁদের ন্যায্য পাওনা। পিআরসির দাবিতে তাদের আন্দোলন চলবেই।

রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আজ মুখ্যমন্ত্রীর সর্বদলীয় বৈঠক কংগ্রেস বয়কট করে। পেমা বিভিন্ন সংগঠনকেও বৈঠকে আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘‘জনমত মেনে আমরা আর পিআরসি আনছি না। বিধানসভায় শুধুমাত্র রিপোর্ট পেশ করার কথা ছিল। সব জেনেও রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভে মদত দেওয়া অন্যায়।’’ সকলকে শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ করেন তিনি।

আরও পড়ুন: প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ে ঘাটতি নয়, পুলিশকে বার্তা মমতার

এ দিকে, ইটানগরে ১০ কোম্পানি অতিরিক্ত ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি) পাঠানো হয়েছে। রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনীর অরুণাচল স্কাউটের জওয়ানরা। বলবৎ আছে কার্ফু। তিন দিন ধরে বিক্ষোভের জেরে আম জনতার অবস্থা শোচনীয়। বাড়িতে নিত্যপণ্য নেই। ফুরিয়েছে নগদ টাকাও। রাস্তায় বেরোতেও ভয় পাচ্ছেন তাঁরা। বিশেষ করে কর্মসূত্রে ইটানগরে থাকা বহিরাগতদের আশঙ্কা আরও বেশি।

অসম পুলিশ আটকে পড়া অসমিয়াদের জন্য হেল্পলাইন চালু করেছে। যান চলাচল আজও বন্ধ। ইটানগর থেকে পালাতে আজ সকাল থেকে অনেকেই পায়ে হেঁটে অসম সীমানার বান্দরদোয়ারের উদ্দেশে রওনা হন। অনেকে হেঁটেই আসতে থাকেন স্টেশনের উদ্দেশে। কিন্তু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল অসমের হারমতি থেকে অরুণাচলের নাহারলাগুনের মধ্যে ট্রেন চলাচল আপাতত

বন্ধ রেখেছে।

এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক হরিশ রাওয়াত গুয়াহাটিতে বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। অরুণাচলে আইন-শৃঙ্খলার বালাই নেই। অবিলম্বে সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হোক।’’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু বিক্ষোভে উস্কানি দেওয়ার জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করেছেন। রাওয়াত সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।

Permanent residential Certificate Arunachal Pradesh Pema Khandu
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy