সিবিআইয়ের গৃহযুদ্ধ যে নরেন্দ্র মোদী সরকারের মাথা ব্যথার কারণ, এ বার তা কার্যত মেনে নিলেন অরুণ জেটলি।
জেটলির মন্তব্য, ‘‘যে ভাবে সিবিআইয়ের মধ্যেই অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ উঠেছে, তা থেকে প্রমাণ হয়, গুরুতর কিছু সমস্যা রয়েছে।’’ সিবিআইয়ের স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানা সংস্থারই ডিরেক্টর অলোক বর্মার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার নালিশ জানিয়েছিলেন। বর্মা আবার আস্থানার বিরুদ্ধেই ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে তদন্ত শুরু করেন। গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরে দু’জনকেই ছুটিতে পাঠিয়ে দেয় মোদী সরকার। ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এম নাগেশ্বর রাও আস্থানার বিরুদ্ধে তদন্তকারী অফিসারদের বদলি করে দেন। কিন্তু সেই বদলি হওয়া অফিসাররাও সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে বলেছেন— তাঁদের কাছে আস্থানার বিরুদ্ধে প্রমাণ, ফোনে আড়ি পাতার রেকর্ড রয়েছে।
জেটলি বলেন, ‘‘অদ্ভূত বিষয় যে কাউকে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে, অথচ তদন্ত থেকে সরে যাওয়ার পরেও তাঁর কাছে তদন্তের ফাইল, টেপ রেকর্ডিং থেকে যাচ্ছে।’’ মোদী সরকার বর্মাকে ডিরেক্টরের কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় সিবিআইয়ের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। বর্মা মামলা করেছেন। কিন্তু সরকারি সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে জেটলির বক্তব্য, ‘‘একটা সাফাই অভিযান প্রয়োজন ছিল। এখন সুপ্রিম কোর্ট গোটা বিষয়টি দেখছে।’’