Advertisement
০৭ মে ২০২৪
Uniform Civil Code

দেওয়ানি বিধি নিয়ে আপত্তি অরুণাচলেও

খ্রিস্টানপ্রধান তিন রাজ্য মিজোরাম, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ড সরকারের তরফে ও বিভিন্ন সংগঠনের তরফে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে আপত্তির কথা উঠেছে আগেই।

ucc

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৩ ০৫:২৮
Share: Save:

এ বার বিজেপি-শাসিত রাজ্য অরুণাচল প্রদেশ থেকেও অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিরুদ্ধে আপত্তি উঠল। অরুণাচলের ২৬টি জনগোষ্ঠীর যৌথ মঞ্চ ‘অরুণাচল ইন্ডিজেনাস ট্রাইবস্ ফোরাম’ আইন কমিশনে চিঠি পাঠিয়ে জানাল, ২৬টি প্রধান ও প্রায় ১০০টি উপ-জনগোষ্ঠীর রাজ্য অরুণাচলে বিভিন্ন পারম্পরিক রীতি-নীতি পালিত হয়। তাই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সকলের উপরে চাপিয়ে দেওয়া চলবে না। তাদের বক্তব্য, ‘মূল ভূখণ্ডে’ অভিন্ন বিধি বলবৎ করায় আপত্তি নেই, কিন্তু জনজাতিপ্রধান অরুণাচলকে এর আওতার বাইরে রাখতে হবে।

খ্রিস্টানপ্রধান তিন রাজ্য মিজোরাম, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ড সরকারের তরফে ও বিভিন্ন সংগঠনের তরফে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে আপত্তির কথা উঠেছে আগেই। মিজোরামের রাজ্যসভার সাংসদ কে ভানলালভেনা আইন কমিশনে চিঠি পাঠিয়ে বলেন, উত্তর-পূর্বের জনজাতিদের ক্ষেত্রে অভিন্ন বিধি প্রয়োগ করা অবাস্তব। তা কেউ মেনে নেবে না। আরও এক ধাপ এগিয়ে তাঁর দাবি, ‘‘ব্রিটিশরা আসার আগে মিজোরাম কখনওই ভারতের অংশ ছিল না। ব্রিটিশদের অধীনেও তারা ছিল মাত্র ৫৭ বছর এবং তখনও তারা মূল ভারতের অধীনস্থ ছিল না। কিন্তু ১৯৪৭ সালে কোনও প্রশাসনিক বন্দোবস্ত ছাড়াই আমাদের মাতৃভূমিকে নবগঠিত ভারতবর্ষের ভিতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তাই মিজোরামের সঙ্গে ভারতের রীতিনীতি, আইনের কখনও কোনও সম্পর্ক ছিল না। এখন তাই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি মিজোরামে চাপিয়ে দেওয়ার প্রশ্নই নেই।’’ অবশ্য নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেফিউ রিও ও মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা কেন্দ্রের সঙ্গে আপত্তি নিয়ে আলোচনার পরে সাংবাদিকদের জানান, উত্তর-পূর্বের খ্রিস্টান ও জনজাতিপ্রধান সব এলাকাকে প্রস্তাবিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বাইরে রাখার কথা ভাবছে কেন্দ্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Uniform Civil Code Arunachal Pradesh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE