শীতবস্ত্র বিক্রির আড়ালে চরবৃত্তি করছিলেন। সেনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাক হ্যান্ডলারদের কাছে পাঠানোর অভিযোগে অরুণাচল প্রদেশের পুলিশের জালে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারার দুই বাসিন্দা। ধৃতেরা হলেন অ্যায়জাজ় আহমেদ এবং বশির আহমেদ গনাই। চরবৃত্তির অভিযোগে এই নিয়ে অরুণাচলে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচ। ঘটনাচক্রে, ধৃতের সকলেই জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা।
রাজ্য পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল (আইজি, আইনশৃঙ্খলা) চুকু আপা জানিয়েছেন, গত ১৮ ডিসেম্বর অ্যায়জাজ় এবং বশিরকে কুপওয়ারা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার পর তাঁদের অরুণাচল প্রদেশে নিয়ে আসা হয়েছে ট্রানজ়িট রিমান্ডে। আইজি জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, অরুণাচলের বিভিন্ন প্রান্তে শীতবস্ত্র বিক্রি করতেন ধৃতেরা। ফলে কেউ সন্দেহ করতে পারেননি। আর সুযোগ নিয়েই পাক হ্যান্ডলারদের কাছে সেনা এবং অরুণাচলের বিভিন্ন অঞ্চলের তথ্য পাচার করতেন তাঁরা। আইজি আরও জানিয়েছেন, ওই তথ্য কি শুধু পাকিস্তানেই পাচার করা হয়েছিল, না কি চিনেও পাঠানো হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ অরুণাচলের উপর দীর্ঘ দিন ধরেই নজর চিনের। এই পরিস্থিতিতে চরবৃত্তির অভিযোগে অরুণাচল থেকে পর পর গ্রেফতার হওয়ায় হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, গত ২১ নভেম্বর জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারার দুই বাসিন্দাকে চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল অরুণাচল পুলিশ। ধৃতেরা হলেন নাজির আহমেদ মালিক এবং সাবির আহমেদ মীর। পরে সাবির আহমেদ খান নামে আরও এক জনকে ইটানগর থেকে গ্রেফতার করা হয়। রাজ্য পুলিশের তরফে ইটানগরের বাসিন্দাদের কাছে আবেদন করা হয়েছে, কোনও নথি পরীক্ষা না করে কাউকে যেন বাড়িভাড়া না দেন তাঁরা। যদি নথি পরীক্ষা ছাড়াই কাউকে ভাড়া দেন, তা হলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে তাঁদের। বিশেষ করে ইটানগর থেকে একের পর এক কাশ্মীরি গ্রেফতার হওয়ায় সচেতনতার বার্তা দেওয়া হল পুলিশের তরফে।