একটি মামলার শুনানির জন্য আদালতে নিয়ে আসা হয়েছিল দুই দুষ্কৃতীকে। বিচারকের সামনে পেশ করার আগেই আদালত চত্বর থেকে পুলিশের হেফাজত থেকে পালাল তাদের মধ্যে এক জন। আর এই ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে যায় আদালত চত্বরে। প্রশ্ন ওঠে কড়া নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে পুলিশের হেফাজত থেকে পালাতে সক্ষম হল দুষ্কৃতী। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই দুই সাব-ইনস্পেক্টর এবং এক কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের ভদোহীর।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার ভদোহীর এক আদালতে নিয়ে আসা হয়েছিল প্রয়াগরাজের দুই দুষ্কৃতী শিবম ভারতী এবং তাঁর সঙ্গী মনু তিওয়ারিকে। সোমবার ভদোহীতে নাকাতল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। সেই সময় এই দুই দুষ্কৃতী ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। তাদের গাড়ি আটকাতেই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। তার পর পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। দুষ্কৃতীদের গাড়ি ধাওয়া করে পুলিশও। দু’পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই হয়। সেই সংঘর্ষে আহত হন শিবম এবং মনু। আহত অবস্থায় তাঁদের দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, আহত দুই দুষ্কৃতীকে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পর আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল পুলিশের গাড়ি করে। আদালত চত্বরে তাদের নামানো হয়। আর তখনই পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে যান শিবম। দুই দুষ্কৃতীর পাহারায় ছিলেন দুই সাব-ইনস্পেক্টর এবং এক কনস্টেবল। তাঁদের তিন জনকে এই ঘটনার পর সাসপেন্ড করা হয়েছে। শিবমের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ সুপার অভমন্যু মাঙ্গলিক জানিয়েছেন, শিবমের বিরুদ্ধে ১৯টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে।