Advertisement
E-Paper

সরগরম দিল্লি, ইফতারে চলছে অঙ্কের খেলা

রাজধানীতে ইফতারের মরসুম এখন রাজনৈতিক দলগুলির বার্তা আদানপ্রদানের মঞ্চ তৈরি করে দিচ্ছে। আজ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের ইফতারে তাঁর দু’পাশে শোভা পেলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং সুখেন্দুশেখর রায়। ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৫ ০৩:২২
কাছাকাছি। ইফতার পার্টিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল এবং তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। রবিবার দিল্লিতে রমাকান্ত কুশওয়াহার তোলা ছবি।

কাছাকাছি। ইফতার পার্টিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল এবং তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। রবিবার দিল্লিতে রমাকান্ত কুশওয়াহার তোলা ছবি।

রাজধানীতে ইফতারের মরসুম এখন রাজনৈতিক দলগুলির বার্তা আদানপ্রদানের মঞ্চ তৈরি করে দিচ্ছে।

আজ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের ইফতারে তাঁর দু’পাশে শোভা পেলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং সুখেন্দুশেখর রায়। ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতও। কেজরীবালের সঙ্গে প্রকাশ্য সংঘাতের সাম্প্রতিক ঘটনা ভুলে ইফতার মঞ্চে তাঁকে আলিঙ্গন করলেন দিল্লির উপ-রাজ্যপাল নজীব জঙ্গ!

আগামিকাল সনিয়া গাঁধীর হাই প্রোফাইল ইফতার স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপি নেতৃত্বের শ্যেন নজরে। নীতীশ কুমার-সহ শীর্ষস্থানীয় অ-বিজেপি নেতাদের সেখানে হাজির হওয়ার কথা। নিমন্ত্রিতের তালিকায় রয়েছেন মায়াবতী, মুলায়ম, শরদ পওয়ার, কানিমোঝি, দেবগৌড়া-সহ অনেকেই। আমন্ত্রণ ছিল সীতারাম ইয়েচুরিরও। তবে তিনি না এলেও সিপিএমের প্রতিনিধিত্ব করার কথা মহম্মদ সেলিমের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে উপস্থিত থাকবেন ডেরেক।

এ দিকে আজ রাজধানীতে ইফতারের আয়োজন করেছিলেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মুফতি মহম্মদ সঈদ। তিনি আমন্ত্রণ করেছিলেন সনিয়াকেও। তবে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের কেউই সেখানে যাননি। আমন্ত্রিত ছিলেন নরেন্দ্র মোদীও। দেশের বাইরে থাকার জন্যে তাঁর পক্ষে মুফতির ইফতারে যোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি।

সব মিলিয়ে রাজধানীতে জমে উঠেছে ইফতার-রাজনীতি। সংসদের বাদল অধিবেশন কিছু দিনের মধ্যেই শুরু হবে। এগিয়ে আসছে বিহার নির্বাচনও। একের পর একে দুর্নীতির অভিযোগে এখন চাপের মুখে বিজেপি। অনেকেই মনে করছেন, এই অবস্থায় ইফতারকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলগুলি জল মেপে নিচ্ছে। এর মধ্যেই মিশে রয়েছে দলগুলির নিজস্ব সমীকরণের অঙ্ক। যেমন সনিয়া গাঁধী ও কেজরীবালের ইফতারে প্রতিনিধি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজেপিকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছেন মমতা। তিনি যে জাতীয় রাজনীতিতে ব্রাত্য নন, বিজেপি নেতৃত্বকে তা বোঝাতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী। তবে সনিয়া বা কেজরীবালের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েও নিজে অনুপস্থিত মমতা। অনেকেই মনে করছেন এর পিছনে রয়েছে তৃণমূল নেত্রীর কৌশল। তিনি নিজে সনিয়ার ইফতারে এলে মোদীর প্রত্যক্ষ বিরোধিতার সুর বাজানো হতো। পরিস্থিতি বিচার করে সেটা আদৌ চাইছেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই সব দরজা খোলা রেখেই ইফতার-রাজনীতি। তবে রাজনীতির সমীকরণের বাইরেও থাকে উৎসব আর নিখাদ সৌজন্যের ভাবনা। তাই ইফতারে পিছিয়ে নেই রাষ্ট্রপতি ভবনও। আগামী ১৫ তারিখ রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ইফতার দিচ্ছেন। নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের। রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রের খবর, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি সদর্থক বার্তা দিতেই এই আয়োজন।

Delhi Chief Minister Arvind Kejriwal Iftar party pakistan Trinamool Congress Muslim
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy