Advertisement
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Arvind Kejriwal

বিবাদ ভুলে পাশে দাঁড়ান, কংগ্রেসকে আর্জি কেজরীর

দিল্লি সরকারের আমলাতন্ত্রের উপরে নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্ট কেজরীওয়াল সরকারের পক্ষে রায় দিয়েছিল। তা খারিজ করে কেন্দ্রীয় সরকার অধ্যাদেশ জারি করেছে।

Arvind kejriwal.

অরবিন্দ কেজরীওয়াল। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২৩ ০৭:৫৩
Share: Save:

রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে কংগ্রেসকে মোদী সরকারের দিল্লির অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানালেন অরবিন্দ কেজরীওয়াল ও সীতারাম ইয়েচুরি। দু’জনেই আজ যুক্তি দিয়েছেন, কংগ্রেসের উচিত আম আদমি পার্টির সঙ্গে রাজনৈতিক বিবাদ দূরে সরিয়ে রেখে দিল্লির আমলাতন্ত্রের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে মোদী সরকার যে অধ্যাদেশ জারি করেছে, তার বিরোধিতা করা।

দিল্লি সরকারের আমলাতন্ত্রের উপরে নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্ট কেজরীওয়াল সরকারের পক্ষে রায় দিয়েছিল। তা খারিজ করে কেন্দ্রীয় সরকার অধ্যাদেশ জারি করেছে। এই অধ্যাদেশকে স্থায়ী আইনের রূপ দিতে সংসদে যখন বিল আনা হবে, রাজ্যসভায় তা আটকাতে সব দলের সমর্থন চাইছেন কেজরীওয়াল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আজ আপের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে এ কে গোপালন ভবনে গিয়ে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে প্রকাশ, বৃন্দা কারাটও হাজির ছিলেন। তৃণমূল, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা, এনসিপি, বিআরএস-এর মতো সিপিএমও সংসদে অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে ভোট দেবে বলে জানিয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। কেজরীওয়াল কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন। তবে দিল্লি-পঞ্জাবের কংগ্রেস নেতারা কেজরীওয়ালকে সমর্থনের বিরুদ্ধে।

কেজরীওয়াল আজ বলেছেন, ‘‘ওঁরা বলছেন, কেজরীওয়ালকে সমর্থন করবেন না। এটা কেজরীওয়ালের বিষয় নয়। দেশের সংবিধানের প্রশ্ন। কংগ্রেসকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাঁরা মোদীর পাশে দাঁড়াবে না দেশের মানুষের পাশে।’’ কেজরীওয়ালের দাবি, কংগ্রেস-শাসিত রাজস্থান সরকারের বিরুদ্ধে এমন অধ্যাদেশ এলে তিনি কংগ্রেসের পাশে থাকবেন। ইয়েচুরিও বলেছেন, সবথেকে বড় বিরোধী দল কংগ্রেসের উচিত এই অধ্যাদেশের বিরোধিতা করা। ভবিষ্যতে এটা যে কোনও রাজ্যে হতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টের রায় খারিজ করে অধ্যাদেশ এনে আদালতেরও অবমাননা করেছে।

কেজরীওয়াল বলেন, মোদী সরকার সুপ্রিম কোর্টের গ্রীষ্মকালীন ছুটির জন্য এক সপ্তাহ ধরে অপেক্ষা করছিল। ছুটির পরে অধ্যাদেশ জারি হয়। ছুটি শেষ হলে দিল্লি সরকার ফের আদালতে যাবে। বাদল অধিবেশনে অধ্যাদেশ পাশ করানোর চেষ্টা হলে রাজ্যসভায় তা আটকানো দরকার। রাজ্যসভায় ২৩৮ জন সাংসদের মধ্যে বিজেপির কাছে ৯৩ জন সাংসদ রয়েছে। ফলে সব অ-বিজেপি দল একজোট হলে অধ্যাদেশ আটকানো সম্ভব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE