E-Paper

পাঁচ বছরে সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে রোজগেরে মেয়েদের সংখ্যা: কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রক

২০২৪-এ দেশের মানুষের মধ্যে কারা, কোথায় কত সময় খরচ করেছেন, তা নিয়ে সমীক্ষা চালিয়ে আজ কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রক এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২৪-এ পুরুষদের ৭৫% চাকরি বা রোজগারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০১৯-এ এই হার ছিল ৭০.৯%।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৬:০১

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

পাঁচ বছরে ছবিটা বদলেছে সামান্যই। ২০১৯-এ মাত্র ২২ শতাংশের মতো মহিলা চাকরিবাকরির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০২৪-এ তা সামান্য বেড়েছে। চার ভাগের এক ভাগমহিলা বা ২৫ শতাংশ এখন চাকরিবাকরি বা রোজগার করছেন। এখনও মহিলাদের অনেকটা সময়ই বাড়ির কাজকর্ম এবং সন্তান ও বয়স্কদের দেখাশোনায়কেটে যাচ্ছে। ১৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সি মহিলাদের এখন দিনের মধ্যে ৩০৫ মিনিট বা পাঁচ ঘণ্টার মতো সময় বাড়ির কাজে ব্যয় হয়। যা থেকে কোনও আয় হয় না। পাঁচবছর আগে তাঁরা ৩১৫ মিনিট সময় খরচ করতেন।

২০২৪-এ দেশের মানুষের মধ্যে কারা, কোথায় কত সময় খরচ করেছেন, তা নিয়ে সমীক্ষা চালিয়ে আজ কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রক এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২৪-এ পুরুষদের ৭৫% চাকরি বা রোজগারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০১৯-এ এই হার ছিল ৭০.৯%। মহিলাদের চাকরি, রোজগারে যুক্ত থাকার হার ২১.৮% থেকে বেড়ে ২৫% হয়েছে। কিন্তু রুটিরুজিতে অংশগ্রহণ বাড়লেও পুরুষদের তুলনায় মহিলারা এখনও অনেক বেশি সময় সংসারের কাজ, ছেলেমেয়ে ও বয়স্কদের দেখাশোনায় খরচ করছেন। ছয়বছরের বেশি বয়সি মেয়ে ও মহিলারা দিনের মধ্যে গড়ে ২৮৯ মিনিট বাড়ির কাজকর্ম করেন। ছেলেদের ক্ষেত্রে এই সময়টা মাত্র ৮৮ মিনিট। ছয় বছরের বেশি বয়সি ৮১.৫ শতাংশ মহিলাই বাড়ির কাজ করেন। পুরুষদের মধ্যে মাত্র ২৭.১ শতাংশ বাড়ির কাজে হাত লাগিয়ে থাকেন।একই ভাবে ১৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সি মহিলারা দিনে গড়ে ১৪০ মিনিট ছেলেমেয়ে বা বয়স্কদের দেখাশোনায় খরচ করেন। পুরুষরাএই কাজে খরচ করেন গড়ে মাত্র ৭৪ মিনিট।

সমীক্ষা বলছে, পুরুষরা গড়ে দিনের ৪৭৩ মিনিট বা ৭ ঘণ্টার বেশি সময় রোজগারে খরচ করেন। মহিলারা গড়ে মাত্র ৫ ঘণ্টা ৪১ মিনিট রোজগারের জন্য ব্যয় করতে পারেন। তবে পড়াশোনার ক্ষেত্রে সময়ের খরচে কোনও ফারাক দেখা যায়নি। ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের৮৯.৩ শতাংশই লেখাপড়ার সঙ্গে যুক্ত। ছেলে হোক বা মেয়ে, দৈনিক গড়ে ৬ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট তারা পড়াশোনাকরে থাকে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Women Empowerment Women employee Working Women

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy