হিন্দিভাষীদের রাজ্য ত্যাগের খবরে চিন্তিত অসমের নতুন রাজ্যপাল বনোয়ারিলাল পুরোহিত। তিনি বলেন, ‘‘হিন্দিভাষীদের ভয়ের কারণ নেই। তাঁরা নিশ্চিন্তে অসমে থাকতে পারেন।’’
গত এক দশক ধরেই পাঞ্জাবি, বিহারি পরিবারগুলির পাশাপাশি মাড়োয়ারি পরিবারগুলিও রাজ্য ছেড়ে দিল্লি, কলকাতা বা আমদাবাদে পাড়ি জমাচ্ছেন বলে খবর। যোরহাট, লখিমপুর, ডিব্রুগড়, তিনসুকিয়া থেকে হিন্দিভাষীদের রাজ্য ছাড়ার খবর বেশি আসছে। আলফার হিন্দিভাষী আক্রমণের সময় থেকেই এই ছেড়ে যাওয়া শুরু হয়। ইদানীং আলফা-স্বাধীন ফের হিন্দিভাষীদের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হওয়ায় রাজ্য ছেড়ে যাওয়ার প্রবণতা আরও বেড়েছে। উজানি অসম, বিশেষ করে তিনসুকিয়ায় কয়লা, মশলা ও বিভিন্ন ব্যবসা বরাবরই হিন্দিভাষীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হত। অন্য দিকে, বরাবরই ওই সব এলাকায় আলফার বড় ঘাঁটি। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জঙ্গি সংগঠন ও অন্যান্য সংগঠনগুলি নিয়মিত তোলা আদায় করে। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির অভিযোগ, তারই সঙ্গে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে হিন্দিভাষীদের দ্বন্দ্ব নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ভূমিপুত্র বনাম বহিরাগতের দ্বন্দ্ব প্রত্যক্ষ ভাবে না হলেও পরোক্ষে ওই সব এলাকায় সক্রিয়। ফলে বিহারি শ্রমিক, মাড়োয়ারি ব্যবসায়ী, হোটেল বা হাসপাতাল মালিকরা বিভিন্নভাবে হেনস্থার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে অভিযোগ। মাড়োয়ারি যুব মঞ্চ, পূর্বোত্তর হিন্দুস্তানী সম্মিলনীর সদস্যরা জানান, বিহারি শ্রমিকরা রাজ্য ছাড়ছেন। ফলে দিনমজুর, ঠেলাচালক মিলছে না। বিভিন্ন কারণে ব্যবসায় ধাক্কা খাওয়া, তোলার চাপ, স্থানীয়দের অন্যায্য দাবি মানতে না পেরে যশকন্দ পরিবার, ওম অগ্রবাল ও পরিবার, জগদম্বা স্টিল, ট্যাক্স কনসালট্যান্ট আর কে জালানদের মতো অনেক নামী হিন্দিভাষী ব্যবসায়ী পরিবার অসম ছেড়েছেন। একই ভাবে রাজ্য থেকে ৯০ শতাংশ পাঞ্জাবি ও আফগান পরিবারও চলে গিয়েছে।
এ দিন উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল রাজভবনের এক বিশেষ বৈঠকে ব্যবসায়ী পরিবারদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, রাজ্য সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। রাজ্যে হিন্দিভাষীদের ব্যবসার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না। তাঁদের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তার ভার রাজ্য সরকারের। বৈঠকে হিন্দিভাষীদের নাগরিক পঞ্জিতে নাম তোলা নিয়ে আশঙ্কার কথাও ওঠে। রাজ্যপাল জানান, ভারতীয় নাগরিকদের চিন্তার কোনও কারণ নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy